শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সাকিবের পর মুস্তাফিজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাকিবের পর মুস্তাফিজ

এতদিন রেকর্ডটি ছিল শুধু সাকিব আল হাসানের। এখন তার সঙ্গী হলেন ‘বিস্ময় বালক’ মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁ হাতি ‘কাটার’ বোলার মুস্তাফিজ বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র বোলার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব সুযোগ পেয়েছিলেন আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট একাদশে। বাঁ হাতি পেসার মুস্তাফিজের সুযোগ হয়েছে ২০১৫ সালের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য। 

ভারতের বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনের বিপক্ষে অভিষেক ওয়ানডেতেই আগুন ঝরানো বোলিং করেন মুস্তাফিজ। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলী, শিখর ধাওয়ানদের মতো তারকা ব্যাটসম্যানদের সুইং ও কাটারে বোকা বানিয়ে তুলে নেন ৫ উইকেট। পরের ম্যাচের রূপ ছিল আরও বিধ্বংসী। ১০ ওভারের স্পেলে ৩৩ রান খরচ করেন ঠিকই, কিন্তু রুদ্রমূর্তি ধারণ করে কাটার আর ইন সুইংয়ে একে একে সাজঘরে পাঠান রোহিত, ধোনী, রায়না, জাদেজা, প্যাটেল ও অশ্বিনকে। দুই ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে নাড়িয়ে দেন ক্রিকেটবিশ্ব। ক্রিকেট বিশ্বে অভিষেকের পর প্রথম দুই ম্যাচে ১১ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড নেই কারও। তৃতীয় ম্যাচেও শিকার ২ উইকেট। ৩ ম্যাচে ১৩ উইকেট; অটোমেটিক্যালি রেকর্ডের সোনালি পাতায় নাম লেখান মুস্তাফিজ। ভারত সিরিজের ধারাবাহিকতা আয় রেখে বিধ্বংসী ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও। তিন ম্যাচ সিরিজের উইকেট সংখ্যা ৫। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ ম্যাচে ৮ উইকেট। ক্যারিয়ারের প্রথম ৯ ম্যাচে মুস্তাফিজের উইকেট ২৬টি। উইকেট প্রতি গড় মাত্র ১২.৩৪ এবং ওভার প্রতি রানের স্ট্রাইক রেট ৪.২৬। এমন পারফরম্যান্স নজর কাড়বে যে কারও। তবে আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে মুস্তাফিজ সুযোগ পেয়েছেন প্রথম ৬ ম্যাচের পারফরম্যান্সে। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে বর্তমান সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিবেচনায় ৬ ম্যাচে মুস্তাফিজের উইকেট ১৮টি। ১৩টি ভারত এবং ৫টি প্রোটিয়াসদের বিপক্ষে। এই পারফরম্যান্সই বিবেচনায় নেন পাঁচ সদস্যের নির্বাচক প্যানেল।                

মুস্তাফিজের অধিনায়ক দক্ষিণ আফ্রিকার ‘জিমন্যাস্ট’ ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স। ডি ভিলিয়ার্স গত পাঁচ বছরের মধ্যে চারবারই সুযোগ পেয়েছেন আইসিসির ওয়ানডে একাদশে। তবে দলনায়ক হয়েছেন এবারই প্রথম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন বেশ কয়েকমাস আগে। তারপরও পারফরম্যান্সের বিচারে চতুর্থবারের মতো একাদশে সুযোগ পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা। চতুর্থবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার আরেক সাবেক অধিনায়ক তিলকারত্নে দিলশানও। মুস্তাফিজের সঙ্গে প্রথমবার সুযোগ পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের রস টেলর ও ট্রেন্ট বুল্ট এবং অসি অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। মুস্তাফিজ ও বুল্ট এবং মিচেল স্টার্ক তিনজনই বাঁ হাতি পেসার। তবে আরেক পেসার ভারতের মোহাম্মদ শামি ডান হাতি। দলের একমাত্র ধীর গতির বোলার প্রোটিয়াস লেগ স্পিনার ইমরান তাহির।    

আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট ও ওয়ানডে একাদশ নির্বাচন প্যানেলের প্রধান ভারতের সাবেক অধিনায়ক, লেগ স্পিনার ও আইসিসি ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান অনিল কুম্বলে। প্যানেলের অপরাপর সদস্য-ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ফাস্ট বোলার ও ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ, ইংল্যান্ডের সাবেক বাঁ হাতি ওপেনার মার্ক বুচার, অস্ট্রেলিয়া মহিলা ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক বেলিন্ডা ক্লার্ক এবং ভারতের দ্য হিন্দু ও স্পোর্টস স্টারের ডেপুটি এডিটর জি. বিশ্বনাথ।

 

আইসিসির বছরসেরা টেস্ট দল

ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া), অ্যালিস্টার কুক (অধিনায়ক, ইংল্যান্ড), কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড), ইউনিস খান (পাকিস্তান), স্টিভেন স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া), জো রুট (ইংল্যান্ড), সরফরাজ আহমেদ (পাকিস্তান), স্টুয়ার্ট ব্রড (ইংল্যান্ড), ট্রেন্ট বুল্ট (নিউজিল্যান্ড), ইয়াসির শাহ (পাকিস্তান), জশ হ্যাজেলউড (অস্ট্রেলিয়া) ও রবিচন্দন অশ্বিন (ভারত, দ্বাদশ খেলোয়াড়)।

 

আইসিসির বছরসেরা ওয়ানডে দল

তিলকারত্নে দিলশান (শ্রীলঙ্কা), হাশিম আমলা (দক্ষিণ আফ্রিকা), কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা), এবি ডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা), স্টিভেন স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া), রস টেলর (নিউজিল্যান্ড), ট্রেন্ট বুল্ট (নিউজিল্যান্ড), মোহাম্মদ শামি (ভারত), মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া), মুস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ), ইমরান তাহির (দক্ষিণ আফ্রিকা) ও জো রুট (ইংল্যান্ড, দ্বাদশ খেলোয়াড়)।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর