বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

অনুশীলনে ফিরছেন জামাল

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অনুশীলনে ফিরছেন জামাল

ফুটবল কিংবা ক্রিকেট বড় আসর আসলেই তারকা খেলোয়াড়রা ইনজুরির শিকার হন। ২৩ ডিসেম্বর ভারতের কেরালায় সুজুকি সাফ ফুটবলের পর্দা উঠছে। সাফ ইতিহাসে বাংলাদেশ একবারই ট্রফি জিতেছিল। ২০০৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আসরে রজনীর নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ফাইনালে হারিয়ে ছিল মালদ্বীপকে। এরপর এক যুগ শুধুই ব্যর্থতা। গত দুই আসরে রীতিমতো ভরাডুবি। গ্রুপ পর্ব খেলেই মামুনুল-এমিলিদের দেশে ফিরে আসতে হয়। গ্রুপ পর্বে ফেবারিট আফগানিস্তান। সে সঙ্গে মালদ্বীপ ও ভুটান। তারপরও টার্গেট শিরোপা। আসলে শক্তি ও সামর্থ্যের দিক দিয়ে বাংলাদেশ মোটেই পিছিয়ে নেই। অথচ সাফ শিরোপায় যেন এখন স্বপ্নে নিম্নমুখী যে বড় কোনো ট্রফি নয় সাফ জেতাটাই বড় চ্যালেঞ্জের। তাই সাফকে বলা হয় এ অঞ্চলের বিশ্বকাপ।

আগে মাঠে নামার আগে প্রস্তুতিটা জোরালো হতো না। এবার প্রস্তুতি নিয়ে অভিযোগ তোলার কোনো সুযোগ নেই। লোকাল-আন্তর্জাতিক ফুটবলে বছরব্যাপীই ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন ফুটবলাররা। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া, জর্ডান ছাড়া কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছে। অভিজ্ঞতা ছাড়াও ভুলত্রুটি শোধরানোর সুযোগ পেয়েছে। মামুনুলরাই বলেছেন, সাফে তা কাজে লাগানো যাবে। এবার বিদেশি নয়, অনেকদিন পর সাফে দায়িত্ব পালন করছেন দেশি কোচ। মারুফুল হক মারুফ প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের দায়িত্ব পেয়েছেন। যোগ্য ও পরীক্ষিত কোচ। তাকে পেয়ে খেলোয়াড়রা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। ক্যাম্পে যারা আছেন তাদের পারফরম্যান্স জানা আছে তার। অনুশীলনের শুরুতেই শিষ্যদের তিনি হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন কোনো অবস্থায় শৃঙ্খলা ভাঙা যাবে না। তাহলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনেকদিন পর খেলোয়াড়রা অন্য পরিবেশে নিজেদের প্রস্তুত করছেন। কিন্তু প্রশিক্ষণে সেই ইনজুরি। কেস্ট কুমার ও আবদুল বাতেন কোমলের ইনজুরি এতই মারাত্মক তাদের আর সাফ খেলা হচ্ছে না। দেশসেরা স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলিকে নিয়েও শঙ্কা কাটছে না। হাঁটুতে তার ব্যথা রয়েছে। যে কারণে অনুশীলনে সমস্যা হচ্ছে। জাতীয় দলের ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবু জানালেন আজ তাকে ডাক্তার দেবাশিষকে দেখানো হবে। এরপর বোঝা যাবে তার ব্যথা কতটা গুরুতর। তবে স্বস্তির কথা হচ্ছে মধ্যমাঠে নির্ভরযোগ্য তারকা জামাল ভূঞা সুস্থ হয়ে উঠছেন। প্রচণ্ড জ্বর আসাতে তাকে উত্তরার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তারের সন্দেহ ছিল জন্ডিস। বাবু জানালেন রক্তের রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। কোনো কিছু ধরা পড়েনি। জ্বরও কমে গেছে। আশা করছি ২/৩ দিনের মধ্যে জামাল ক্যাম্পে ফিরবে। বিকেএসপিতে এখন অনুশীলন চলছে দুই বেলা। খেলোয়াড়রা মনোযোগ সহকারে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তিনজন গোল রক্ষকসহ সাফে ২০ জনের চূড়ান্ত দল ঘোষণা হবে খুব শিগগিরই। ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ দল কেরালার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বে। নেতৃত্বে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই। মামুনুলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মাঠে নামবে। বাবু জানান আগের যেকোনো আসরের চেয়ে এবার প্রস্তুতিটা ভালো হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা ভালো খেলার ব্যাপারে খেলোয়াড়রা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। শিরোপা জিততেই তারা প্রতিটি ম্যাচে মরিয়া হয়ে লড়বে। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর