শিরোনাম
শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সুযোগ না পেয়ে হতাশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সুযোগ না পেয়ে হতাশ

পরশু রাতে যখন ক্যাম্প ছেড়ে বাসায় চলে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন জাহিদ হাসান এমিলি, তখন কোচ মারুফুল হক কান্নাভেজা চোখে প্রিয় শিষ্যের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। সে মুহূর্তটির কথা কোনোভাবেই ভুলতে পারছেন না দেশসেরা স্ট্রাইকার। কোচ মারুফ মনেপ্রাণে চেয়েছিলেন প্রিয় শিষ্যকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। এ জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন কোচ। কিন্তু ইনজুরির সঙ্গে লড়াইয়ে পেরে না ওঠায় শেষ পর্যন্ত সরে দাঁড়াতে হয় এমিলিকে। ফলে অভিজ্ঞ এমিলিকে ছাড়াই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। টানা ষষ্ঠবারের মতো সাফে খেলতে না পারার হতাশায় মুষড়ে পড়েছেন এই স্ট্রাইকার। তবে খেলতে না পারলেও প্রিয় দলের শুভ কামনা করতে ভোলেননি এমিলি।

২০০৫ সাল থেকে খেলছেন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। কিন্তু শিরোপার স্বাদ পাননি। এ হতাশাকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলে মরিয়া এমিলি চেয়েছিলেন খেলতে। ডান হাঁটুর ইনজুরি তাকে সে সুযোগ দেয়নি। সুযোগ না পেয়ে পুরোপুরি হতাশ, ‘আমি যখন ক্যাম্প ছেড়ে চলে আসি এবং মারুফ ভাইকে যখন আমার অবস্থা জানাই, তখন চোখে জল চলে এসেছিল। আমি খেলতে চেয়েছিলাম। সবাই চেয়েছিল আমি খেলি। ইনজুরির জন্য পারলাম না। খেলতে না পারায় আমি পুরোপুরি হতাশ।’ নিজে খেলতে পারছেন না। কষ্ট হলেও টেলিভিশনের সামনে বসে খেলা দেখবেন প্রিয় দলের। শত মাইল দূরে বসে উত্সাহ জোগাবেন প্রিয় বন্ধুদের। খেলতে না পারলেও দল নিয়ে আশাবাদী এমিলি। মনে করেন এবারের সাফে ভিন্ন মাত্রার ফুটবল খেলবে দল, ‘মারুফ ভাই কোচ হওয়ায় সবার আন্তরিকতা বেড়ে গেছে অনেক। ১৮-১৯ দিনের অনুশীলনে সবাই সিনসিয়ার ছিলেন। সাফে ভালো করার জন্য সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমার বিশ্বাস এবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ অন্য রকম কিছু হবে।’

ডান হাঁটুর ইনজুরির জন্য আরও দুই সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে এমিলিকে। দুই সপ্তাহ তাকে জিম করতে হবে পায়ের শক্তি বাড়াতে। হাঁটুর শক্তি বাড়াতেই এখন জিম করতে চাইছেন এমিলি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর