শিরোনাম
শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ব্রোঞ্জ ধরে রাখাই লক্ষ্য

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ব্রোঞ্জ ধরে রাখাই লক্ষ্য

এস এ গেমসের ইতিহাসে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সোনা জিতেছিল ২০১০ সালে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্ এ গেমসে ১৮টি সোনা জেতার কৃতিত্ব পেয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের শিলংয়ে বসবে নতুন এস এ গেমস। বাংলাদেশ অলিম্পিক সংস্থার মহাসচিব শাহেদ রেজা বলেছেন, সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় বাংলাদেশ। বিভিন্ন ইভেন্টের প্রস্তুতি অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে। কোন ইভেন্টে সোনা আসবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে হকিতে সোনা বা রুপা জেতা সম্ভব নয়। তা অনেকটা নিশ্চিত। ১৯৯৫ সাল থেকে এস এ গেমসে (তখন সাফ গেমস) হকি ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তখন থেকে দুটি পদক ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে। বাংলাদেশ পাচ্ছে তামার পদক।  বিশ্ব হকিতে ভারত ও পাকিস্তানের আগের দাপট ম্লান হয়ে গেলেও এশিয়াতে তারা ঠিকই পরাশক্তি। হকির ইতিহাসে দুই দেশকে টপকিয়ে বাংলাদেশ কোনো ট্রফি জেতেনি। এস এ গেমসেও তাদের জাতীয় দল অংশ নেবে। তাই শক্তির পার্থক্য বিচার করলে বাংলাদেশের পক্ষে সোনা বা রুপা জেতা কোনোভাবে সম্ভব নয়। তামাই মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশ সেভাবে প্রস্তুত হচ্ছে। কথা হচ্ছে বাংলাদেশের তামা ফসকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কিনা। কোচ মাহবুব হারুন বলেছেন, পদক ধরে রাখার সামর্থ্য তার দলের আছে। আসলে এ নিয়ে চিন্তা থাকার কথা নয়। কিন্তু অঘটন কখন ঘটে বলা মুশকিল। তামা লড়াইয়ে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে শ্রীলঙ্কা। শক্তির বিচারে তাদের তুলনায় জিমি-চয়নরা এগিয়ে থাকলেও ইদানীং ম্যাচগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। বাংলাদেশকে তাই সতর্ক হয়ে খেলতে হবে। ২৭ জন খেলোয়াড় নিয়ে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে প্রশিক্ষণে ব্যস্ত জাতীয় দল। এস এ গেমসে চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হবে ১৮ জনকে। প্রধান নির্বাচক কামরুল ইসলাম কিসমত বলেন, অন্যান্য টুর্নামেন্টে যাই হোক না কেন এস এ গেমসে ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করবে ছেলেরা। তিনি বলেন, সোনা জিতব এ কথা বলব না। কিন্তু মাঠে ঠিকমতো জ্বলে উঠতে পারলে ভালো কিছু করা সম্ভব। তবে মূল লক্ষ্য থাকবে তামাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর