শিরোনাম
বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ হবে এশিয়াসেরা টুর্নামেন্ট’

বাংলাদেশের গ্রুপে মালয়েশিয়া

ক্রীড়া প্রতিবেদক

‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ হবে এশিয়াসেরা টুর্নামেন্ট’

সাফ মিশন শেষ। এবারও গ্রুপ পর্ব খেলে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। এমন পারফরম্যান্সে ফুটবলপ্রেমীরা ক্ষুব্ধ। ব্যর্থতার জন্য তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু ফুটবল থেমে থাকছে না। আবারও মাঠে নামতে হচ্ছে ফুটবলারদের। আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে পর্দা উঠছে চতুর্থ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের। ঢাকা ছাড়াও এবার প্রথমবারের মতো আসর অনুষ্ঠিত হবে যশোরে। যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেট ব্যস্ততার কারণে সিলেটে আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। ১৯ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। টুর্নামেন্টে সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আসর উদ্বোধন করবেন। ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী ও বিজিত দলের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু কাপের আয়োজন করা হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয় আসর মাঠে নামলেও ১০ বছর পর গত জানুয়ারি মাসে তৃতীয় টুর্নামেন্টের দেখা মিলে। এক সময় বাফুফে প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতো। ১৯৯২ সালের পর এ টুর্নামেন্টের  দেখা মেলেনি। ফেডারেশনও এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছে।

চতুর্থ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে বাংলাদেশ জাতীয় ও অনূর্ধ্ব-২৩ দলসহ আটটি দল অংশ নেবে। দলগুলো হচ্ছে মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, বাহরাইন, মালদ্বীপ ও কম্বোডিয়া। গতকাল দলগুলোর গ্রুপিং নির্ধারণ হয়েছে। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশ জাতীয় দল, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও নেপাল। ‘বি’ বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩, মালদ্বীপ, বাহরাইন ও কম্বোডিয়া। গতকাল সোনারগাঁও হোটেলে ড্র অনুষ্ঠান শুরুর কথা ছিল বেলা সাড়ে ১২টায়। কিন্তু তা শুরু হয় দু ঘণ্টা পর। অর্থমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সামনে আরও দলের সংখ্যা বাড়ানো হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন ২০১৮ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল এশিয়ার অন্যতম সেরা টুর্নামেন্টে পরিণত হবে। টুর্নামেন্টের কো-স্পন্সর হামিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কাপকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সহযোগিতা করে যাবেন। এই টুর্নামেন্টের জন্য কখনো অর্থ কোনো ফ্যাক্টর হবে না।

গ্রুপিং অনুযায়ী ‘এ’ গ্রুপে মালয়েশিয়াকে ফেবারিট ধরা যায়। সাফে ভরাডুবিতে ফুটবলারদের মন-মানসিকতা ভালো নেই। তবে যোগ্যতা অনুযায়ী খেলতে পারলে সেমিতে যাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। শ্রীলঙ্কা ও নেপাল ততটা শক্তিশালী নয়। বাংলাদেশ পারবে কিনা সেটাই প্রশ্ন। কেননা মারুফুল হক মারুফ বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি না করলে তিনি জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন করবেন না। বাফুফে তার সঙ্গে এখনো আলাপ করেনি। মারুফ না থাকলে বঙ্গবন্ধু কাপে কে কোচ হবেন তা ঠিক হবে কবে? হাতে সময়ও নেই। তাছাড়া ম্যানেজার পদেও পরিবর্তন আসছে। এসব সিদ্ধান্তের পর জাতীয় দল নিজ মাঠে কতটা গুছিয়ে খেলবে সেটাই দেখার বিষয়।

এবারই প্রথম জাতীয় দলের পাশাপাশি টুর্নামেন্টে অনূর্ধ্ব-২৩ দল অংশ নিচ্ছে। এমনিতেই দক্ষ খেলোয়াড়ের অভাব। দুদলে কারা খেলবেন সেটারও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। কেননা জাতীয় দলে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সাতজন খেলোয়াড় রয়েছেন। বাফুফেকে ধন্যবাদ দেওয়া যায় প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে আরেকটি বঙ্গবন্ধু কাপ মাঠে গড়াচ্ছে। কিন্তু দেশের দুটো দল ব্যর্থতার পরিচয় দিলে এই টুর্নামেন্টের আকর্ষণ থাকবে কী? বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেছেন, সাফে ব্যর্থতায় তিনি ব্যথিত। কিন্তু হতাশায় ভেঙে পড়েননি। তার বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু কাপেই জাতীয় দল ঘুরে দাঁড়াবে। ফুটবলকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বাফুফে। সিলেটে ফুটবল একাডেমি নতুনভাবে চালু হচ্ছে। একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান দীর্ঘমেয়াদে স্পন্সরের জন্য এগিয়ে এসেছে। সালাউদ্দিন বলেন, কোনো কিছুর ঘাটতি রাখিনি। তারপরও সাফে প্রত্যাশিত ফল পেলাম না। যাক ফুটবলে এমন হতেই পারে। ভেঙে পড়লেতো আর চলবে না। পরিকল্পনা করে এগুতে হবে। এর জন্য সবার সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।

সর্বশেষ খবর