শুক্রবার, ৪ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

নিবিড় প্রশিক্ষণে মহিলা ক্রিকেটাররা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নিবিড় প্রশিক্ষণে মহিলা ক্রিকেটাররা

লতা মণ্ডল

মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিকদের খ্যাতি এখন বিশ্বজুড়ে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে তারা কতটা অপরিহার্য বার বার প্রমাণ মিলছে। মাশরাফির কথাই ধরুন। ব্যাট করতে নেমে টানা দুই বাউন্ডারি না মারলে পাকিস্তানকে হারানো যেত কিনা সংশয় ছিল। তার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। রবিবার এশিয়া কাপের ফাইনাল। ২০১২ সালে ফাইনালে উঠেও পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি। ২ রানে হেরে তীরে তরী ডুবিয়েছে। এবার আর ভুল করতে চায় না টাইগাররা। প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ট্রফি ঘরে তুলবে— এ প্রত্যাশা দেশবাসীর।

এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হলে টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ উজ্জীবিত হয়ে খেলতে পারবে। টি-২০-তে বাংলাদেশের যে রুগ্নদশা ছিল তা আস্তে আস্তে কেটে যাচ্ছে। শুধু পুরুষ কেন, মেয়েরাও টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে নামবে। মাঠে নামার আগে নিজেদের প্রস্তুত করে নিচ্ছেন নারী ক্রিকেটাররা। ২০১৪ সালে নিজ দেশে খেললেও সালমা, জাহানারাদের পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো ছিল না। নবম হয়ে ছোট আকৃতির বিশ্বকাপ শেষ করেছিল। এবার লক্ষ্য শিরোপা না হলেও আগের চেয়ে অবস্থান মজবুত করা। র্যাংকিংয়ের উন্নয়ন ঘটানো। বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেটের শুরু বেশি দিনের নয়। তার পরও উন্নতি কম হয়নি। ২০১০ ও ২০১৪ সালে এশিয়ান গেমসে রুপা জিতেছিলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। বিশেষ করে ইনচেন গেমসে সোনা না জেতাটা ছিল দুর্ভাগ্যজনক। সালমা, জাহানারা বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেটে বড় তারকা। অন্যরাও পিছিয়ে নেই। ব্যাট-বলে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছেন। লতা মণ্ডল পারফরম্যান্সের মাধ্যমে পরিচয়ের কাতারে চলে এসেছেন। ডান হাতে ব্যাট করার পাশাপাশি ডান হাতি মিডিয়াম পেস বলও করেন। ভারতে টি-২০ বিশ্বকাপে দলের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। মাঠে নামার আগে ভুলত্রুটি শোধরাতে ঝালিয়ে নিচ্ছেন নিজেকে। অলরাউন্ডার বলে লতার কাছে দলের চাহিদাটা অনেক বেশি। আস্থা রাখার সব গুণ তার মধ্যে রয়েছে। লতা বলেন, ‘টি-২০ বিশ্বকাপে এবারের লক্ষ্য ভালো করা। বাংলাদেশের সে সামর্থ্য রয়েছে। ১৩০ বা ১৪০ রান করতে পারলে আশা করি বোলাররা যে কোনো প্রতিপক্ষকে আটকিয়ে দিতে পারবে। আর প্রতিপক্ষ ১২০ বা ১৩০ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলে ব্যাটসম্যানরা ম্যাচ বের করার ক্ষমতা রাখে।’

সর্বশেষ খবর