একটি আফসোস নিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন নিউজির্যান্ডের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার মার্টিন ক্রো। ব্ল্যাক কাপসদের অগনিত ক্রিটেপ্রেমীকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন মাত্র ৫৩ বছর বয়সে। মার্টিন ক্রোর বিদায়ে ক্রিকেট বিশ্ব হারালো একজন ব্যাটিং শিল্পী। ১৯৯২ সালে অসাধারন ক্রিকেট খেলে নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমিফাইনালে। চেয়েছিলেন তাসমান সাগড়ের ওপারের দেশকে বিশ্বসেরা করতে। কিন্তু পারেননি। সেই দুঃখ আজীবন বয়ে বেড়িয়েছেন। এরপর ২০১৫ সালে ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ড যখন প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠলো, তখন পুরো দলকে উজ্জীবিত করতে লিখলেন এক খোলা চিঠি। যাতে লিখেছিলেন, নিউজিল্যান্ডের অধিবাসীদের জন্য বিশ্বকাপ জেতো। কিন্তু পারেননি ম্যাককুলামরা। সেই হতাশা আরও বেশী করে গ্রাস করেছিল ক্রোকে। বিশ্বকাপ জিততে না পারার হতাশা, আফসোস নিয়েই মার্টিন ক্রো গতকাল পাড়ি জমিয়েছেন অজানার দেশে। তিনি যখন পাড়ি জমান চিরকালের জন্য, তার পাশে ছিলেন স্ত্রী ও আত্মীয়স্বজন। এছাড়াও ঢাকায় ম্যাচ রেফারীং করছেন তারই বড় ভাই জেফ ক্রো। বেশ কয়েক বছর ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন ক্রো জুনিয়র। চিকিৎসা করে একসময় ভারাৈ ফল পেয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু ‘মরণ ব্যাধি’ ক্যান্সার কোনোভাবেই পিছূ ছাড়েনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ক্যান্সারের সঙ্গে পেড়ে উঠেননি ক্রো। ক্রিকেট দুনিয়াকে শোকের সাগড়ে ভাসিয়ে চলে যান মৃত্যুর ওপারে। ক্রো ভুগছিলেন লিম্ফোমা ক্যান্সারে। ২০১২ সালে ডাক্তার তাকে সুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৪ সালে পুনরায় আক্রান্ত হন এবং এবার আর পেড়ে উঠেননি। তাই পৃথিবী তাকে ছাড়তেই হলো। ৮০ ও ৯০ দশকে তাকে বলা হতো ক্রিকেট বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। বিশেষ করে স্পিনারদের যমদূত ছিলেন তিনি। অসাধারন মানসিকতার মার্টিন ক্রো ক্যারিয়ারে টেস্ট খেলেছেন ৭৭টি এবং ওয়ানডে ১৪৩টি। টেস্টে রান করেন ৫৪৪৪। গড় ৪৫.৩৬। এরমধ্যে ১৯৯১ সালে ওয়েলিংটনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৯৯ রানের অতিমানবীয় একটি ইনিংসও রয়েছে। সেঞ্চুরি ১৭টি। ওয়ানডেতে রান ৪৭০৪। ৪ সেঞ্চুরির বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরি ৩৪টি।