রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

‘ক্রিকেটারদের সবাই খেলবেন’

ক্রীড়া প্রতিবেদক

‘ক্রিকেটারদের সবাই খেলবেন’

অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস

কেভিন পিটারসেনকে বলা হয় ইংল্যান্ড ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। ২০০৯ সালে পিটারসেন যখন ইংলিশ ক্রিকেট দলের, তখন ভারত সফরের মাঝপথে ফিরে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। পরে অবশ্য ফিরেছিল ইংলিশরা। সেই দলের সদস্য ছিলেন অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। বাঁ হাতি ওপেনার স্ট্রাউস পরে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হয়েছিলেন। দেশে ফিরে যাওয়ার পর পুনরায় ভারত সফর করা তৎকালীন ইংলিশ অধিনায়ক পিটারসেন বলছেন, ইংল্যান্ডের উচিত হবে না বাংলাদেশ সফরে আসা। অথচ স্ট্রাউস চাইছেন, সব ক্রিকেটার যেন বাংলাদেশ সফর করেন।

১ জুলাই হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর প্রায় ভেস্তেই গিয়েছিল! কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়েই নির্ধারিত সময়েই সফরে আসতে সম্মত হয় ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ সফরে আসার ঘোষণা দেওয়ার আগে ইংলিশ ক্রিকেটাররা নিরাপত্তা বিষয়ে আশ্বস্ত হতে বৈঠক করেন ক্রিকেট বোর্ডের নিরাপত্তা প্রধান রেগ ডিকসনের সঙ্গে। বৈঠকে নিরাপত্তা বিষয়ে স্বস্তি পাওয়ার পরই বাংলাদেশ সফরে সম্মত হন ক্রিকেটাররা। এরপর স্ট্রাউস মিডিয়াকে জানিয়ে দেন, নির্ধারিত সময়েই বাংলাদেশ সফর করবে ইংল্যান্ড। উল্লেখ্য, ৩০ সেপ্টেম্বর তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট খেলতে ঢাকায় আসার কথা ইংল্যান্ডের।

বাংলাদেশ সফর নিশ্চিত করলেও ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছে ক্রিকেটারদের। বোর্ড বলেছে, যাদের ইচ্ছা, তারা বাংলাদেশ সফরে যেতে পারেন। ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের এই স্বাধীনতা দেওয়ায় অ্যালিয়েস্টার কুকসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের নাম শোনা যাচ্ছে বাংলাদেশ সফরে না যাওয়ার। তবে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে প্রধান নির্বাচক স্ট্রাউস আশা করছেন জাতীয় দলের সবাই বাংলাদেশ সফর করবেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো পর্যায়েই আমরা খেলোয়াড়দের জিজ্ঞেস করিনি সফরে তাদের পাওয়া যাবে কিনা। তবে আমি আশাবাদী, আমরা খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার বিষয়টি বুঝাতে পারব। বুঝাতে পারব সফরটি শতভাগ নিরাপদ। আমি নিশ্চিত ক্রিকেটাররাও বুঝতে পারবেন, সফরে যাওয়াটা তাদের জন্য নিরাপদই হবে।’ বাংলাদেশ সফরে সবাইকে পাওয়ার আশা স্ট্রাউসের। তাই বলে ক্রিকেটারদের উপর জোর করার পক্ষে নন তিনি, ‘সফর করার জন্য আমরা কাউকে জোর করতে পারি না। এটা করতেও চাই না। আমরা তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিব। তারা সিদ্ধান্ত নিবেন সফরের বিষয়ে।’ অক্টোবরে নিরাপত্তার অজুহাতে বাংলাদেশ সফর করেনি অস্ট্রেলিয়া। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব-১৯ দলও যুব বিশ্বকাপ খেলতে আসেনি। তবে যুব বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল ইংল্যান্ড। ওই যুব বিশ্বকাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থাই আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছে  ইংল্যান্ড  ক্রিকেট বোর্ডকে। বাংলাদেশ সফরে আসার বিষয়ে যুব বিশ্বকাপ প্রাধান্য পেয়েছে ইংলিশ     ক্রিকেট বোর্ডের কাছে।    

সর্বশেষ খবর