ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, শোয়েব আখতার থেকে শুরু করে হাল আমলের আমিররা পাকিস্তানকে বিশ্ব ক্রিকেটে শক্তিশালী পেস অ্যাটাকিং দল হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে। এই পরিচয়ের মধ্যে বাড়তি উন্মাদনাই যেন যোগ করতে চলেছেন এক সবজি বিক্রেতার ছেলে। ছেলেবেলা থেকেই ২১ বছরের ইয়াসিন জান স্বপ্ন দেখেছেন ওয়াসিম আকরাম আর ওয়াকার ইউনুসের মতো বোলার হতে। তবে এ জন্য তাকে দুই হাতেই বল করতে হতো। ওয়াসিম আকরামকে কপি করতেন বাম হাতে। ওয়াকারকে কপি করতেন ডান হাতে। এভাবেই একদিন তিনি সব্যসাচী বোলার হয়ে উঠেন। তার এই প্রতিভার প্রকাশ প্রথম ঘটে রাওয়ালপিন্ডি অনূর্ধ্ব-১৯ ম্যাচে। সেই ম্যাচে অধিনায়কের অনুরোধেই নাকি হাত বদলে বাম হাতে বোলিং করেন তিনি। প্রতিপক্ষকে হারিয়েছিলেন সেবার এ অদ্ভূত কৌশলে। এরপর পাকিস্তানের কিংবদন্তি বোলার আকিব জাভেদের তত্ত্বাবধানে লাহোরে কালান্দারস দলের জন্য ট্যালেন্ট হান্ট শুরু হলে ইয়াসির সেখানে আসেন। তার বোলিং সাড়া ফেলে দেয় তখন। এক সময় জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াতে চান এ বোলার। পারিবারিক দৈন্যতার মধ্যেও বাইশ গজ উইকেটকেই আঁকড়ে রেখেছেন। ডান হাতে তিনি ১৪৫ কিলোমিটার এবং বাম হাতে ১৩৫ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে পারেন ইয়াসির। বর্তমানে তিনি পাকিস্তান সুপার লিগে লাহোর কালান্দারস দলের হয়ে খেলছেন। ‘পাকিস্তানের অলিগলিতে প্রতিভাবান বোলার জন্ম নেয়’ প্রবাদটা বুঝি আরও একবার সত্যি প্রমাণ করতে যাচ্ছেন ইয়াসির। অবশ্য এমন ‘সব্যসাচী’ বোলার যে আগে দেখা যায়নি তেমন নয়। হাসান তিলকরত্নে, গ্রাহাম গুচ, চামিন্ডা মেন্ডিসরাও কখনো কখনো দুহাতে বল করেছেন। এমন কী রবিচন্দ্রন অশ্বিন দাবি করেছেন, সমান পারদর্শিতায় দুই হাতে বল করতে পারেন তিনিও। তবে ইয়াসির জানের মতো এতটা দক্ষতায় আর কেউই কখনো সব্যসাচী বোলিং করেনি। পাকিস্তান দল সম্ভবত শিগগিরই এ সব্যসাচী বোলারকে দলে ডাকতে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে তারা ওয়াসিম-ওয়াকার দুজনের অভাবই পূরণ করতে পারবে!