ফিউচার ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচি নিয়ে ফিফার প্রতিনিধিদল ঢাকা এসেছে। তারা বাফুফের প্রস্তাবনা দেখেছে। কিন্তু এতে করে তারা খুব একটা সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। ফিউচার ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচির আওতায় প্রতি বছর সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ লাখ ডলার পাওয়ার সুযোগ আছে বাফুফের। সে সুবিধা পেতে বয়সভিত্তিক দল ও জাতীয় মহিলা দল আবাসিক ক্যাম্প, সোহরাওয়ার্দী কাপ, জিমনেসিয়াম, ডরমেটরি ট্রেনিং সেন্টারের অনুদান চেয়েছে ঘরোয়া ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বাফুফের প্রস্তাবনার খসড়া দেখে খুশি ফিফার কর্মকর্তারা। কিন্তু বাফুফেকে বাস্তুববাদী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রতিনিধি দল। সিনিয়র ডেভেলভমেন্ট ম্যানেজার মাইক ফিস্টার বলেন, প্রস্তাবে অনেক ভালো পরিকল্পনা আছে। তবে এটা আমার কাছে খুবই উচ্চাভিলাষী মনে হয়েছে। আসলে এমন পরিকল্পনা দেওয়া উচিত যা বাস্তবে রূপ দেওয়া যাবে। যত বেশি প্রস্তাবনা দেবেন তাতে মনে হবে আপনি লক্ষ্য পৌঁছাতে চান না। চার বছর নয়, আপাতত দুই বছর মেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করে বাফুফেকে এগুলোর পরামর্শ দিয়েছেন ফিস্টার।
বাংলাদেশের ফুটবলকে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে মাইক ফিস্টারের। তার বাবা অটো ফিস্টার ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। সে সময়ে বাংলাদেশ বয়েজের হয়ে লিগে কয়েকটা ম্যাচ খেলেছেন তিনি। প্রায় ২০ বছর পর ঢাকায় আসেন তিনি। এসে বাংলাদেশের মান নিয়ে হতাশাও প্রকাশ করেন ফিস্টার। বললেন, ওই সময়ে বাংলাদেশের ফুটবলের জনপ্রিয়তা ছিল চোখে পড়ার মতো। বাবাই বলতেন ফুটবলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। এখন তো দেখছি ঠিক তার উল্টোটা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খুব খারাপ সময় যাচ্ছে। দর্শকও নাকি হয় না। বাফুফের কর্মকর্তাদের বিষয়গুলো গুরুত্ব দিতে হবে। তা না হলে ফান্ড আপনি যতই পান না কেন ফুটবল উপকৃত হবে না।