ক্রিকেটের মতো ততটা অনিশ্চিত নয়। তবু ফুটবলেও বলা যাবে না এ দলই জিতবে। কারণ দুর্বল প্রতিপক্ষের বড় দলকে রুখে দেওয়ার ঘটনা একেবারে কম নয়। গতকাল কলকাতা রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে এএফসি কাপ বাছাইপর্বে গ্রুপ ম্যাচে মোহনবাগান ও ঢাকা আবাহনী মুখোমুখি হয়েছিল। দুই বাংলায় দুই জায়ান্টের লড়াই। তবে ম্যাচের আগেই অনেকে সন্দিহান ছিলেন আবাহনীর জয় নিয়ে। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আবাহনী অংশ নিচ্ছে। ঢাকায় উদ্বোধনী ম্যাচে মালদ্বীপ চ্যাম্পিয়ন মার্জিয়া ক্লাবের কাছে আবাহনী ২-০ গোলে হেরে যায়। মোহনবাগান টুর্নামেন্টে সুযোগ পেয়েছে প্লে-অফ ম্যাচে জয়ের সুবাদে। তারপরও আবাহনীর জেতার আশাটা অনেকে ছেড়েই দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। কলকাতার ম্যাচে জয় পেয়েছে ওপার বাংলার মোহনবাগানই। ৩-১ গোলে হেরে গেছে বাংলাদেশের পেশাদার লিগ চ্যাম্পিয়নরা। এই হারে এএফসি কাপে পরবর্তী রাউন্ডে খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে গেল আবাহনীর। প্রথমার্ধে ২১ মিনিটে জোনাথনের গোলে এগিয়ে যায় নীল-আকাশীরা। দ্বিতীয়ার্ধের ৩ মিনিটের ব্যবধানে লালপেখলুয়া ও বলবন্ত সিং গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে রাখেন। ৮৭ মিনিটে সনি নর্দে গোল করলে কলকাতার মাঠে আবাহনীর হার নিশ্চিত হয়ে যায়। আসলে মোহনবাগানের বিপক্ষে আবাহনী ছিল অনেকটা দুর্বল। যেসব স্থানীয়দের ওপর ভরসা রাখা যায় তারা অনুশীলনে ঠিকমতো যোগ না দেওয়ায় টুর্নামেন্টের আগেই সাসপেন্ড করে আবাহনী। তারপর পেশাদার লিগে দুই বিদেশি ফুটবলার লি টাক ও সানডে দলে নেই। সামাদ ইউসুফের খেলার কথা থাকলেও পাসপোর্ট জটিলতার কারণে আসতে পারেননি।