শুক্রবার, ২৬ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

পারল না শেখ রাসেল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

পারল না শেখ রাসেল

প্রথমে গোল করে শেখ রাসেল ফুটবলারদের উল্লাস। শেষ পর্যন্ত দুর্ভাগ্যক্রমে টাইব্রেকারে হেরে ফেডারেশন কাপ থেকে বিদায় নিতে হয় তাদেরকে —বাংলাদেশ প্রতিদিন

টাইব্রেকারে ভাগ্য ভালো নয় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের! গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে টাইব্রেকারে শেখ জামালের কাছে হেরেছিল শেখ রাসেল। গতকাল ফেডারেশন কাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছে দলটি। নির্ধারিত ১২০ মিনিট ১-১ গোলে ড্র ছিল। পরে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হেরে যায় শেখ রাসেল। বিপরীতে পিছিয়ে থেকেও ভাগ্যের সহায়তায় সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় বন্দর নগরীর দল চট্টগ্রাম আবাহনী। বন্দর নগরীর দলটি চার শটের চারটিতেই গোল করেন অ্যালিসন উদোকা, মাশুক মিয়া, সোহেল রানা ও সবুজ। শেখ রাসেল প্রথম দুটিতে গোল করেন দাওদা সিসে ও বিশ্বনাথ ঘোষ। মিস করেন ফজলে রাব্বি ও উত্তম কুমার বনিক। অথচ টাইব্রেকারে জেতার জন্য কোচ মানিক অভিজ্ঞতার জন্য নামিয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক গোলরক্ষক বিপ্লব ভট্টচার্যকে।  

প্রথম দল হিসেবে ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। দ্বিতীয় দল হিসেবে সেরা চারে খেলতে গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যায় নেমেছিল শেখ রাসেল ও চট্ট. আবাহনী। শক্তিশালী দুই দলের প্রথমার্ধ ছিল আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে ভরা। শুরুতে আক্রমণে যায় রাসেল। শফিকুল ইসলাম মানিকের শিষ্যরা এগিয়ে যায় ১১ মিনিটে। ডি-বক্সে দাওদা সিসেকে ফাউল করেন প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের এক ফুটবলার। রেফারি ফ্রি কিকের নির্দেশ দেন। ডান প্রান্ত থেকে আতিকুর রহমানের ভাসানো বলে এলিটা বেঞ্জামিনের হেড ছোট বক্সে দাঁড়ানো স্ট্রাইকার মেহবুব হাসান নয়নের পায়ে পড়ে। নয়ন সময়ক্ষেপণ না করে দুর্দান্ত ভলিতে চট্ট. আবাহনীর গোলরক্ষক  রাসেলকে পরাস্ত করেন (১-০)। এগিয়ে যায় শেখ রাসেল। দুই মিনিট পর সমতায় ফেরে বন্দর নগরীর দলটি। চট্টগ্রাম আবাহনী সমতাসূচক গোলটি রাসেলের গোলরক্ষক জিয়াউর রহমানের ভুলে। বক্সের বাইরে থেকে উড়ে আসা বল গ্রিপ করতে পারেননি জিয়া। বল হাত ফসকে সামনে পড়লে দ্রুত দৌড়ে আসা চট্টগ্রামের দলটির স্ট্রাইকার জাহিদ হোসেন টোকায় সমতা আনেন (১-১)। সমতা আসার পর দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে। দুই দলই গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। 

দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই আক্রমণ করে খেলতে থাকে। ৫২ মিনিটে গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে বন্দর নগরীর দলটি। কিন্তু জাহিদের বাড়ানো ক্রসে হেড করতে পারেননি নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার আফেজ ওলাওলে ওলাডিপো। ৬৯ মিনিট নিশ্চিত গোল হজম থেকে বেঁচে যায় রাসেল। ডান প্রান্ত থেকে জাহিদের বাড়ানো ক্রসে গোলরক্ষক জিয়াকে একা পেয়েও তৌহিদুল আলম সবুজ ঠিকমতো শট নিতে পারেননি। ফলে গোল হয়নি। ৭৬ মিনিটে ফের সুযোগ নষ্ট করে চট্ট. আবাহনী। প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে অপেক্ষাকৃত ভালো খেলেছে আবাহনী। কিন্তু গোল করতে পারেনি কোনো দলই। ফলে নির্ধারিত ৯০ মিনিট ১-১ গোলেই শেষ হয়। নির্ধারিত সময়ে খেলায় ফল না হওয়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে গড়ায় ম্যাচ। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে শেখ রাসেল একবার বল জালেও ফেলে। কিন্তু ফাউল বলে রেফারি গোলের বাঁশি বাজাননি। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে নিশ্চিত গোলবঞ্চিত হয় চট্টগ্রাম আবাহনী। ডান প্রান্ত থেকে জাহিদের ক্রসে বল গোলবারের ওপর দিয়ে মারে ওলাডিপো। ফলে গোল আর হয়নি। তবে ১২০ মিনিটে শেখ রাসেলের বদলি গোলরক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্য নিশ্চিত গোল রক্ষা করেন। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। এতেই ভাগ্য খুলে যায় চট্টগ্রাম আবাহনীর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর