বাংলাদেশ পেশাদার লিগের সবচেয়ে সফল দল ঢাকা আবাহনী। ১০ আসরের অর্ধেকেরই শিরোপা জিতেছে আকাশী-হলুদ শিবির। দ্বিতীয় সফল দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব তিন বারের চ্যাম্পিয়ন। এবারও শিরোপা প্রত্যাশী। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যায় চতুর্থ শিরোপা জয়ের স্বপ্নে খেলতে নামে দলটি। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দল মোহামেডান। পেশাদার লিগ চালুর পর প্রথম তিন আসরের রানার্স আপ দলটির সাফল্য ওই টুকুই। এরপর শুধুই ব্যর্থতা। এবার একঝাঁক তরুণ ফুটবলারদের নিয়ে প্রথম শিরোপা জয়ের স্বপ্নে দল গড়েছে। কিন্তু পেরে উঠেনি শেখ জামালের সঙ্গে। হেরেছে ২-০ গোলে। এই জয়ে বিপিএলের দশম আসরে দুই বিদেশি মোমোদু বাহ ও রাফাইল ওডোইনের গোলে শুভ সূচনা করেছে শেখ জামাল। বিপরীতে ১৯৭০ সালের পর এই প্রথম লিগে নিজেদের সূচনা ম্যাচে হারলো মোহামেডান। স্বাধীনতার আগে মোহামেডান ১-০ গোলে হেরেছিল ওয়াপদার কাছে।
গতকাল পেশাদার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে দুই দল। লিগের উদ্বোধনী দিনে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী শুভ সূচনা করে নবাগত সাইফ স্পোর্টিংকে হারিয়ে। গতকাল দিনের প্রথম খেলায় কেউই জিতেনি টিম বিজেএমসি ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যাচে। গোলশূন্য ড্র হয় ম্যাচটি। সন্ধ্যায় শেখ জামাল ও মোহামেডান মুখোমুখি হওয়ার আগে মৌসুমে আরও একবার লড়েছিল পরস্পরের বিপক্ষে। ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে ১-০ গোলে জিতেছিল শেখ জামাল। অবশ্য সেমিফাইনালে আবাহনীর কাছে হেরে থেমে গিয়েছিল জামালের দৌড়। মতিঝিল পাড়ার দলটির বিপক্ষে মৌসুমের শুরুর ম্যাচের আত্মবিশ্বাস নিয়ে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে শেখ জামাল। পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছিল দলটি। কিন্তু নুরুল আবসারের শট ক্রসবারে লাগায় গোলের দেখা পায়নি ধানমন্ডি পাড়ার দলটি। দুই মিনিট পর ফের গোল করতে ব্যর্থ হন নুরুল আবসার। তার দুরন্ত শট সামান্যের জন্য বারপোষ্ট ঘেঁষে বাইরে যায়। গোল না পেলেও আক্রমণের ধার কমায়নি শেখ জামাল। এর মধ্যে ২১ মিনিটের রেফারি আজাদ রহমানের সঙ্গে বচসায় লিপ্ত হয়ে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ পান জামালের কোচ জোসেফ আপুসি। কোচ মাঠ ছাড়লেও শিষ্যরা মুহুর্মুহু আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে সাদা কালো শিবিরের রক্ষণভাগকে। প্রথমার্ধের খেলা যখন অন্তিম মুহূর্তে গড়ায়, তখনই গোলের আনন্দে ভাসে শেখ জামাল। জামালকে আনন্দে ভাসান গাম্বিয়ান স্ট্রাইকার মোমোদু বাহ। মাঝ মাঠ থেকে বাড়ানো বল ধরে মোমোদু মোহামেডানের রক্ষণভাগের একজনকে কাটিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে এগিয়ে নেন শেখ জামালকে (১-০)। ওই গোলের পরই বিরতির বাঁশি বাজান রেফারি।