১৯৮৬ সালে লিগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী ও মোহামেডানের লড়াই। খেলা শুরু বিকাল ৫টায়। অথচ দুপুর ২টার মধ্যেই পুরো গ্যালারি ভরে গেছে। লড়াই তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে। উত্তেজনায় কাঁপছে পুরো দেশ, দুই দলের পতাকা উড়ছে শহর ছাড়িয়ে গ্রামে-গঞ্জেও। এসব এখন বর্তমান প্রজন্মের ক্রীড়ামোদীদের কাছে গল্পই মনে হবে। বিশ্বাস করানোই যাবে না দুই দলের খেলা নিয়ে কি উত্তেজনাই না সৃষ্টি হতো। বিশ্বাস করবেই বা কীভাবে। এখনতো আবাহনী-মোহামেডানের ম্যাচের খবরই রাখে না কেউ। গ্যালারিতে বড় জোর ২ কিংবা ৩ হাজার দর্শক উপস্থিত থাকে। আজ সাইফ পাওয়ার ব্যাটারি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে। সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে। ফুটবলে এখন যে দুর্দশা নেমে এসেছে আজ যে আবাহনী-মোহামেডান মুখোমুখি হবে এই খবরই অনেকেই জানেন না।
যাক জানুক আর নাইবা জানুক আজ আবাহনী মোহামেডানের ম্যাচ। মর্যাদার লড়াই বলে এই ম্যাচের গুরুত্ব এখনো আছে। যদিও সাফল্যের দিক দিয়ে আবাহনী যেখানে পাঁচবার লিগ জিতেছে সেখানে মোহামেডানের ঘর শূন্য। মোহামেডানের অবস্থা এতটা খারাপ জয় পাওয়াটা তাদের কাছে ভাগ্যে পরিণত হয়েছে। লিগের প্রথম দুই ম্যাচ শেখ জামাল ও চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে হার মেনেছে। শুরুটা ঢাকা আবাহনীর যে খুব ভালো হয়েছে তা বলা যাবে না। প্রথম ম্যাচে সাইফ পাওয়ার স্পোর্টিংকে ৩-২ গোলে হারালেও পরের ম্যাচে দুর্বল ফরাশগঞ্জের কাছে হেরে যায়।