ম্যাচ এখনো অনেক বাকি। তাই পেশাদার ফুটবল লিগে কে চ্যাম্পিয়ন হবে বলা মুশকিল। তবে শেখ জামাল ধানমন্ডি এ পথেই হাঁটছে। ৭ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছে। নবাগত সাইফ স্পোর্টিংও এক ম্যাচ কম খেলে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। ঢাকা আবাহনী ৭ পয়েন্ট হারালেও তাদেরকে পেছনে রাখা যাবে না। বড় কোনো অঘটন না ঘটলে এই চার দলেরই ট্রফি জেতার সম্ভাবনা বেশি। কোরবানির ঈদের পর গতকালই লিগ মাঠে গড়িয়েছে। সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচে শেখ জামাল ২-১ গোলে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। ১৯৭৫ সালে প্রথম বিভাগে অভিষেক হওয়া এই দলটির দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো। মোহামেডান-আবাহনীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দল গড়তো ব্রাদার্স। দেশের ফুটবলে তৃতীয় শক্তি হিসেবেই তাদেরকে গণনা করা হতো। দুইবার লিগ ছাড়াও অনেক ট্রফি ব্রাদার্সের ঘরে গেছে। এখন সেই
৭ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপার রাস্তায় হাঁটছে শেখ জামাল। অভিজ্ঞ ও তরুণদের সমন্বয়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তিনবারের লিগ জেতা দলটি। প্রথম পর্ব শেষের দিকে। যত সময় যাচ্ছে শিরোপার লড়াই উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। ঢাকা আবাহনী, চট্টগ্রাম আবাহনী ও সাইফ স্পোর্টিং শক্তিশালী এ তিন দলের বিপক্ষে খেলা বাকি রয়েছে শেখ জামালের। অবস্থান মজবুত করতে এই তিন ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি ৯ পয়েন্ট অ্যাকাউন্টে তুলতে পারে তাহলে প্রথম পর্বে শীর্ষে থাকার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে শেখ জামালের। অপেক্ষা এখন একটাই প্রথম পর্বে শীর্ষে থাকবে কারা? এক্ষেত্রে শেখ জামাল, চট্টগ্রাম আবাহনী ও সাইফের সম্ভাবনা বেশি। দলে তারকা খেলোয়াড় না থাকার পরও শেখ জামাল যেভাবে জ্বলে উঠছে তা সত্যিই অসাধারণ। এই টিম নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া মানে ঘরোয়া ফুটবলে নতুন এক রেকর্ড গড়া। ১৯৮০ সালে তরুণদের নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যা দেখিয়ে ছিল মোহামেডান।