তাজিকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের র্যাঙ্কিংয়ের পার্থক্য অনেক। বাংলাদেশ ১৯৬ নম্বরে। তাজিকিস্তান ১২৩। এই ব্যবধান দিয়েও আসলে কিছু বোঝা যাবে না। দুই দলের অতীত হলো, ১০ বারের লড়াইয়ে তাজিকিস্তানই জিতেছে ৭ বার। বাংলাদেশের একমাত্র জয় এসেছে ২০১০ সালে। আর গত তিন ম্যাচে তাজিকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ গোল হজম করেছে ১১ টা! এটা জাতীয় দলের পরিসংখ্যান। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে আসলেই চিত্রটা আবার ভিন্ন রূপ ধারণ করে।
গতকাল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তাজিকিস্তানের শহর হিসোরের সেন্ট্রাল স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের সঙ্গে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশের যুবারা। জাতীয় দলের দুঃখজনক স্মৃতি আর বিরূপ আবহাওয়া, সবকিছুই ছিল টুটুলদের বিপক্ষে। কিন্তু কী এক অদম্য প্রেরণা জুগিয়ে নিজেদের প্রমাণ করল টুটুলরা। এএফসি এশিয়া কাপ অনূর্ধ্ব-১৯ এর বাছাইপর্বে বি গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করল বাংলাদেশ। এই ড্রয়ে যেন কিছুটা স্বস্তি ফিরল ফুটবল প্রাঙ্গণে। শুরুতে ভালো করায় এএফসি কাপের চূড়ান্তপর্ব খেলার আশাও জাগিয়ে তুলল তরুণরা।
সর্বশেষ ২০০২ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্ট খেলেছে বাংলাদেশের তরুণরা। এরপর থেকেই এখানে অনুপস্থিত লাল-সবুজের দল। ১৯৭৫ সাল থেকে নিয়মিত এই টুর্নামেন্ট খেললেও কখনোই গ্রুপ পর্বের বাধা পাড়ি দিতে পারেনি বাংলাদেশ। গুরু মাহবুব হোসেন রক্সির হাত ধরে কী নতুন কিছু করে দেখাতে পারবেন টুটুলরা!
এদিকে গতকাল বি গ্রুপের অপর ম্যাচে শ্রীলঙ্কা-মালদ্বীপ ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। এই গ্রুপে বাংলাদেশ, তাজিকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ এক পয়েন্ট করে সংগ্রহ করে আছে সমান্তরালে। ১০ গ্রুপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাছাই পর্ব। প্রতি গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন দল সরাসরি এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিবে। এছাড়াও রানার্সআপ দলগুলোর মধ্যে সেরা পাঁচটা দল চূড়ান্ত পর্ব খেলার সুযোগ পাবে। আগামী বছরের অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ায় এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।
অনূর্ধ্ব-১৯ বাছাই পর্বে গতকাল জয় পেয়েছে কিরগিজস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াও।