মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

উচ্ছ্বাস-উচ্চাশার সঙ্গে আছে ক্ষোভও

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

কদিন আগেও সিলেটের সর্বত্র ছিল নির্বাচনী আলোচনা। আগামী সিটি নির্বাচনে কোন দল থেকে কে হচ্ছেন মেয়র প্রার্থী, তা নিয়েই আগ্রহ ছিল সবার। কিন্তু সেই আলোচনায় জল ঢেলে ‘টক অব দ্য টাউনে’র স্থান দখল করেছে বিপিএল। প্রথমবারের মতো দেশের ক্রিকেটের জমকালো এই আসরের পর্দা উঠেছে সিলেটের মাঠে। এ নিয়ে এখানকার সর্বত্র যেমন উচ্ছ্বাস আর উচ্চাশা আছে, তেমনই জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্বকারী সিলেটের সাবেক ক্রিকেটাররা যথাযথভাবে মূল্যায়ন না পাওয়ায় আছে ক্ষোভও। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটের পঞ্চম আসর মাঠে গড়িয়েছে এবার। প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও গেল চারটি আসরের একটি ম্যাচও হয়নি সিলেটের মাঠে। এ নিয়ে ক্ষোভ ছিল এখানকার ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে। এবার অর্থমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় বিপিএল এসেছে দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশ হিসেবে খ্যাত সিলেটে। গোটা সিলেটও মেতেছে বিপিএলের রঙিন উৎসবে। বিপিএল যে সিলেট মাতাবে, তা অনুমেয় ছিল আগেই। কিন্তু টিকিট বিক্রি শুরু হতে যে উন্মাদনা দেখা গেল, তা ছিল প্রত্যাশারও অতীত। আগের রাত থেকে টিকিটের লাইনে দাঁড়িয়ে, রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে টিকিট সংগ্রহ করেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। টিকিট না পেয়ে ঘটেছে বিক্ষোভ আর ভাঙচুরের ঘটনাও। তারপর মাঠে ব্যাটে-বলের লড়াই শুরু হতেই অন্য এক আমেজ। রঙিন গ্যালারিতে হাজার হাজার দর্শকের সরব উপস্থিতি সিলেটের ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার কথা যেন জানিয়ে দিল বিশ্বময়। এ সবকিছুকেই সিলেটের ক্রিকেটের জন্য সুখবর বলে মনে করছেন ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, সিলেটের ঝিমিয়ে পড়া স্থানীয় ক্রিকেটকে চাঙা করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বিপিএল। বিপিএলকে সামনে রেখে সিলেট সিক্সার্স ফ্র্যাঞ্চাইজি যে বোলার হান্ট করেছে, তাতে যারা ওঠে এসেছেন, তাদের কেউ কেউ আগামীতে জাতীয় পর্যায়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারেন বলেও ধারণা ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের।

সর্বশেষ খবর