মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চট্টগ্রাম আবাহনী

সাইফের মধুর প্রতিশোধ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাইফের মধুর প্রতিশোধ

দীর্ঘ বিরতির পর ফের মাঠে গড়িয়েছে দেশের সবচেয়ে জমজমাট আসর পেশাদার ফুটবল লিগ। প্রায় একমাসের বিরতির পর লিগ শুরুর দিনেই চমক দেখিয়েছে নবাগত সাইফ স্পোর্টিং। পেশাদার লিগের সবচেয়ে সফল দল ঢাকা আবাহনীকে হারিয়ে দিয়েছে। ২-১ গোলের জয় তুলে নিয়ে দলটি প্রথম পর্বে হারের প্রতিশোধ নিয়েছে এবং উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। প্রথম পর্বে পেশাদার লিগের চারবারের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী ৩-২ গোলে হারিয়েছিল সাইফ স্পোর্টিংকে। এই জয়ে সাইফের পয়েন্ট ১২ ম্যাচে  ২৫ এবং হেরে যাওয়ায় আবাহনীর পয়েন্ট ২৪। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ফরাশগঞ্জকে ৪-০ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। এ জয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর পয়েন্ট ১২ ম্যাচে ২৯। প্রথম পর্বে চট্টগ্রাম আবাহনী ২-০ গোলে হারিয়েছিল পুরনো ঢাকার দলটিকে।

হেমন্তের বিকালে খেলতে নামে দুই শিরোপা প্রত্যাশী দল। দীর্ঘদিনের বিরতির জন্য দুই দলকেই ম্যাচের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়। তারপরও আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ জমিয়ে তুলতে চেষ্টা করে। কিন্তু কোথায় যেন সুর কেটে যাচ্ছিল বারবার। প্রথম পর্বে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে থাকা ঢাকা আবাহনীকে একুট বেশিই অগোছালো মনে হয়েছে। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে সাইফ স্পোর্টিং। ১৯ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় চট্টগ্রামের দল সাইফ স্পোর্টিং। মিডফিল্ডার জামাল ভূইয়ার কর্নারে ওয়েডসেন অ্যালসেলমের হেড ড্রপ খেয়ে বারের ওপর দিয়ে যাওয়া গোল পায়নি চট্টগ্রামের দলটি। ৩৪ মিনিটে এগিয়ে যায়। ডান প্রান্ত থেকে জুয়েল রানার ক্রস সামাদ ইউসুফ হাত দিয়ে আটকে দেয় বিপজ্জনক স্থানে। পেনাল্টি পায় সাইফ স্পোর্টিং। ঠাণ্ডা মাথায় দলকে এগিয়ে নেন কলকাতার ইস্ট বেঙ্গল থেকে খেলতে আসা ওয়েডসেন (১-০)। এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সাইফ স্পোর্টিং। দ্বিতীয়ার্ধে গা ঝাড়া দিয়ে খেলতে চেষ্টা করে ঢাকা আবাহনী। সাইফও পিছিয়ে ছিল না। ফলে জমে উঠে ম্যাচ। এই অর্ধেও সাইফ অপেক্ষাকৃত ভালো খেলে। ৫৭ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ওয়েডসেন। মতিন মিয়ার পাসে বল ধরে ডি বক্সের ভিতর থেকে ওয়েডসেন শট নেন। কিন্তু বল বারপোস্টের বেশ বাইরে দিয়ে যায়। পরের মিনিটে জুয়েল রানা শট নেন। এবারও বারপোস্টের ওপর দিয়ে যায়। ৬২ মিনিটে ওয়েডসেনকে তুলে নেন সাইফের কোচ। মাঠে নামান অ্যাম্বের আর্লে ভালেন্সিয়াকে। আক্রমণের গতি বেড়ে যায় চট্টগ্রামের দলটির। এরমধ্যে ৭৫ মিনিটে ধানমন্ডি পাড়ার দলটির কফিনে পেরেক ঠুকে দেয় সাইফ স্পোর্টিং। জামালের কর্নারে বক্সের বাইরে থেকে ছুটে এসে হেডে দলের গোল সংখ্যা দ্বিগুণ করেন ইংলিশ স্ট্রাইকার শেরিংহাম (২-০)। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ম্যাচে ফিরতে মরণ কামড় দেয় আবাহনী। ৯০ মিনিটে পেনাল্টি পায় আবাহনী। আরিফের হাতে বল লাগলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি এবং সানডে চিজোবা গোল ব্যবধান কমান (১-২)। এরপর অবশ্য দুর্ভাগ্য ভর করে আবাহনীর। রায়হান হাসানের লম্বা থ্রোয়ে হেড করেন সানডে। বল গোলরক্ষক পাপ্পুকে পরাস্ত করলেও বারপোস্টে লাগায় সমতা ফিরেনি ম্যাচে। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সাইফ স্পোর্টিং।

সর্বশেষ খবর