ফুটবল ইতিহাসে পেলে, ম্যারাডোনা, পুসকাস, জিকো, ডি স্টেফানোদের মতো কিংবদন্তিতুল্য অনেক তারকার নাম লেখা আছে। কিন্তু মেসি-রোনালদো দ্বৈরথের মতো দ্বৈরথ ফুটবল ইতিহাস তন্নতন্ন করে খুঁজলেও দ্বিতীয়টি পাওয়া কঠিন হবে। পেলে-ম্যারাডোনাকে নিয়ে বিতর্ক অনেক পুরনো। কিন্তু দুজন ভিন্ন সময়ের ফুটবলার। তুলনাটা তাই যথার্থ বলে মনে হয় না। এ ছাড়াও পাশাপাশি খেলেছেন এমন তারকাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। যেমন ক্রুইফ-বেকেনবাওয়ার এবং রোনাল্ডো-জিদান। কিন্তু তাদের যুগেও অন্যদের আনা-গোনা ছিল। ক্রুইফদের সময় ছিলেন গার্ড মুলার আর অলেগ ব্লখিনরা, জিদানদের যুগে ছিলেন রিভালদো আর লুইস ফিগোরা। মেসি-রোনালদো যুগের মতো এমন কোনো যুগ ফুটবল ইতিহাস দেখেনি।
সেই ২০০৮ সাল থেকে শুরু। এরপর আর কেউই এই রাজ্যে প্রবেশানুমতি পাননি। একটা দশক ধরে দুজন রাজত্ব করে চলেছেন ফুটবল দুনিয়া। ফিফার বর্ষসেরা কিংবা ব্যালন ডি’অর, গত এক দশকে মেসি-রোনালদো ছাড়া কেউই জিততে পারেননি এই পুরস্কার। ২০০৭ সালে সর্বশেষ ব্রাজিলিয়ান তারকা কাকা জিতেছিলেন ব্যালন ডি’অর আর ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার। এরপর থেকেই মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ চলছে। এতদিন লিওনেল মেসি ৫টি ব্যালন ডি’অর জিতে শীর্ষে ছিলেন এককভাবে। তবে গত পরশু পাঁচ নম্বরটি জিতে মেসির সমান্তরালে পৌঁছেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গত মৌসুমে লা লিগা আর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এ পর্তুগিজ তারকা। এরই পুরস্কার পেলেন রোনালদো। গোলের দিক দিয়ে মেসি (৫২ ম্যাচে ৫৪ গোল) এগিয়ে থাকলেও রোনালদো (৪৬ ম্যাচে ৪২ গোল) অনেক এগিয়ে ছিলেন শিরোপা জয়ের দিক দিয়ে। মেসি জিতেছেন কেবল কোপা দেল রে কাপ। লা লিগা আর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন রোনালদো।
এবারের ব্যালন ডি’অরে রোনালদো অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। পর্তুগিজ এই তারকা ৯৪৬ পয়েন্ট পেয়ে সেরা নির্বাচিত হয়েছেন। ৬৭০ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন লিওনেল মেসি। তৃতীয় হওয়া নেইমার পেয়েছেন ৩৬১ পয়েন্ট।