বুধবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

খেলল শেখ রাসেল জিতল সাইফ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

খেলল শেখ রাসেল জিতল সাইফ

প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকেও সমতায় ফিরেছিল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের ডিফেন্ডারদের ভুলে সাইফ পুনরায় গোল করলে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় মানিকের শিষ্যদের —বাংলাদেশ প্রতিদিন

সেই একই দৃশ্য। খেলল শেখ রাসেল, জিতে গেল প্রতিপক্ষ দল। এবারে লিগে এই চিত্র যেন ফুটবলপ্রেমীদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে। তারকা না হলেও শেখ রাসেল শিরোপা জিততে ব্যালান্সড দলই গড়েছিল। কিন্তু ট্রফি দূরের কথা, জনপ্রিয় দলটি সেরা পাঁচেও থাকবে কিনা সংশয় রয়েছে। অথচ ফেবারিটদের মতো লিগের শুরুটা করেছিল দারুণ।

এরপর দুর্ভাগ্য পেয়ে বসে তাদের। একের পর এক পয়েন্ট হারিয়ে শিরোপার সম্ভাবনা প্রথম পর্বেই শেষ হয়ে যায়। সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল দ্বিতীয় পর্বে চেনারূপে ফিরবে শেখ রাসেল।

কোচ মানিক এমন আভাসও দিয়েছিলেন। দুর্বলতা দূর করতে দ্বিতীয় পর্বে খেলোয়াড়ও রদবদল হয়। মাঠে ভালোই খেলছে। ম্যাচও নিয়ন্ত্রণে রাখছে। কিন্তু জয়ের ধারা ধরে রাখতে পারছে না। হিসাব করে দেখা যায় কমপক্ষে সাতটি জেতা ম্যাচে হয় হার নয় ড্র করে মূল্যবান পয়েন্ট নষ্ট করেছে পেশাদার লিগে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। ২১ না হোক এসব ম্যাচ থেকে যদি ১৫ পয়েন্টও পাওয়া যেত তাহলে শিরোপা রেসে ভালোভাবেই টিকে থাকত শেখ রাসেল।

দুর্ভাগ্য যেন পিছু ছাড়ছে না তাদের। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সাইফ স্পোর্টিংয়ের মুখোমুখি হয় শেখ রাসেল। শিরোপা বা রানার্স-আপ যখন হাতছাড়া হয়ে গেছে তখন শেখ রাসেল চেয়েছিল লিগে এই বড় দলকে হারাতে। তাও হলো না, ১-২ গোলে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় নীল জার্সিধারীদের। কপাল খারাপ থাকলে যা হয়, যেখানে জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে নেমেছিল সেখানে কিনা পিছিয়ে যেতে হয় আত্মঘাতী গোলে। সাইফের আক্রমণটাও ততটা ভয়ঙ্কর ছিল না। অথচ তাড়াহুড়া করে ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল নিজেদের জালে ঢুকিয়ে দেন শেখ রাসেলের অরূপ বৈদ্য। প্রথমার্ধে ১ গোলে পিছিয়ে থাকে শেখ রাসেল।

গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে লড়তে থাকে তারা। ৪৮ মিনিটে গোলও পেয়ে যায়। তবে এটিও আত্মঘাতী। সাইফের আরিফ নিজেদের জালে বল পাঠান। সমতায় ফেরার পর ম্যাচও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। শেখ রাসেলের আক্রমণ সামাল দিতে সাইফের ডিফেন্ডারও হিমশিম খেয়ে যান। সুযোগ পেয়েও এগিয়ে যেতে পারেনি শেখ রাসেল। বরং ৬৫ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ইব্রাহিম গোল করে সাইফকে এগিয়ে রাখেন। শেষ পর্যন্ত এই গোলেই সাইফ জিতে যায়। ২০ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে এএফসি কাপ বাছাই পর্ব খেলাটা নিশ্চিত করে ফেলল তারা। অন্যদিকে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডানের পেছনেই পড়ে থাকল শেখ রাসেল।

দিনের প্রথম ম্যাচে টিম বিজেএমসি ও রহমতগঞ্জ কেউ জিততে পারেনি। ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। বিজেএমসি ২০ ম্যাচে ১৯ ও রহমতগঞ্জ ১৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। রহমতগঞ্জ রেলিগেশনের শঙ্কায় দুলছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর