ইউরোপিয়ান লিগে টানা জয়ের রেকর্ডটি গড়তে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি। উড়তে থাকা পেপ গার্ডিওলার ম্যানসিটিকে আটকে দিয়েছে ক্রিস্টাল প্যালেস। টানা ১৯ জয়ে এখন সবার ওপরে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা জয়ের রেকর্ডটি কিন্তু এখন গার্ডিওলা বাহিনীর। টানা ১৮ জয় নিয়ে রেকর্ডটি এখন ম্যানসিটির। বছরের শেষ দিনে ক্রিস্টালের সঙ্গে পয়েন্ট হারালেও শীর্ষস্থান ধরে রাখতে কোনো সমস্যা হয়নি সার্জিও আগুইরো, রহিম স্টার্লিংদের। দ্বিতীয় স্থানে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে এগিয়ে এখনো ১২ পয়েন্ট। খেলাও খেলেছে একটি কম। পয়েন্ট টেবিলে এমন যখন অবস্থান, তখন নতুন বছর দারুণ এক জয়ে শুরু করেছে ম্যানইউ। হোসে মরিনহোর শিষ্যরা পরশু রাতে ২-০ গোলে হারিয়েছে এভারটনকে। এই জয় পেয়েছে টানা তিন ম্যাচে ড্র করার পর।
২০১৭ সাল মরিনহোর শিষ্যরা শেষ করেছিল লিস্টার সিটি, বার্নলি ও সাউদাম্পটনের সঙ্গে ড্র করে। দিনের আরেক ম্যাচে লিভারপুল ২-১ গোলে হারিয়েছে বার্নলিকে।
সোমবার রাতে ম্যানইউ জিতেছে এভারটনের মাঠে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে সফল দলটির জয়ের নায়ক অতনি মার্শিয়াল ও জেসে লিনগার্ড। গুডিসন পার্কে জয়ের জন্য মুখিয়ে থাকা ম্যানইউ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। স্বাগতিক এভারটন খেলতে থাকে রক্ষণাত্মক মেজাজে। ফলে গোল পেতে কষ্ট হয়েছে ম্যানইউর। প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। অবশ্য গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল মরিনহোর শিষ্যরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলটির। অবশেষে গোলের দেখা পায় ৫৭ মিনিটে। অবশ্য ৫১ মিনিটে ভাগ্য বিরূপ থাকায় গোল পায়নি ম্যানইউ।দলটির স্প্যানিশ স্ট্রাইকার জুয়ান মাতার শট বার-পোস্টে লাগে। এর ছয় মিনিট পর পল পগবার কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের মাথা থেকে সোয়ার্ভিং শটে দলকে এগিয়ে নেন মার্শিয়াল (১-০)। ৮১ মিনিটে দারুণ এক গোলে জয় নিশ্চিত করেন জেসে লিনগার্ড (২-০)। বল পায়ে একজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে কোনাকুনি জোরালো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ইংলিশ মিডফিল্ডার। এই জয়ে ম্যানইউর পয়েন্ট ২২ ম্যাচে ৪৭। এক ম্যাচ কম খেলে সবার ওপরে ম্যানসিটির পয়েন্ট ৫৯। তৃতীয় স্থানে থাকা চেলসির পয়েন্ট ৪৫। বার্নলির বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে লিভারপুলের পয়েন্ট ২২ ম্যাচে ৪৪। ২১ ম্যাচে আর্সেনালের পয়েন্ট ৩৮।