রবিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

তামিমের দুরন্ত সেঞ্চুরি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

তামিমের দুরন্ত সেঞ্চুরি

নাজমুল ইসলাম অপুর বল লং অনে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দিলেন তামিম ইকবাল। বিশাল ছক্কা! পরের বলেই আবারও বাউন্ডারি। ছক্কা হাঁকিয়ে তামিম সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেন। কিন্তু ড্যাসিং ওপেনার বুঝতেই পারেননি। বোঝার কথাও নয়। কেন না প্রস্তুতি ম্যাচ বলে ইলেকট্রনিক স্কোর বোর্ড চালু ছিল কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ম্যানুয়েল স্কোর বোর্ডেও ব্যক্তিগত স্কোর দেখানো হচ্ছিল না। পরে তামিমের স্কোর যখন ১০৪ তখন ড্রেসিং রুম থেকে কল করা হলো তাকে। অন্য ব্যাটসম্যানকে ব্যাটিং করার সুযোগ দিতেই স্বেচ্ছায় মাঠের বাইরে চলে আসেন তামিম।

১১৯ বলে ১০৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। প্রস্তুতি ম্যাচ বলে এই স্কোর রেকর্ড বুকের কোথাও লেখা থাকবে না। তবে তামিমের আত্মবিশ্বাসকে যে আরও বাড়িয়ে দেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

২০১৭ সালে ওয়ানডেতে সেরা সময় কাটিয়েছেন তামিম ইকবাল। ১২ ম্যাচে ৬৫ গড়ে রান করেছেন। দুই সেঞ্চুরির সঙ্গে ৮টি হাফ সেঞ্চুরি ছিল। আগের বছর যেখানে শেষ করেছেন সেখান থেকেই নতুন বছরটি শুরু করার ইঙ্গিত দিলেন তামিম। শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে আসন্ন ত্রি-দেশীয় সিরিজে বড় কিছু করার ইঙ্গিত দিলেন দেশসেরা ওপেনার।

কালকের প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও। তিনিও খেলেছেন ৭৫ বলে ৮৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই খেলেছেন মাহমুদুল্লাহ।

তবে প্রস্তুতি ম্যাচে প্রস্তুতিটা ভালো হয়নি ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ মুশফিকুর রহিমের। কাল উইকেটে থীতুই হতে পারেননি তিনি। বাইশগজে গিয়ে তাসকিনের করা ওভারে প্রথম বলেই সরাসরি বোল্ড হয়ে যান মুশি। সাকিব আল হাসানও লম্বা সময় উইকেটে থাকতে পারেননি। তিনি ব্যাট হাতে করেছেন ২৪ রান।  এছাড়া সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে এসেছে ২০ রান। তবে শেষের দিকে দারুণ ব্যাটিং করেছেন আবুল হাসান রাজু। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৫ রান। ওপেনিংয়ে নেমে দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাটিং করেছেন এনামুল হক বিজয়ও। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২০ রান। তবে যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন, তামিমকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন তিনি। সব মিলে কাল ব্যাটিং প্রাকটিসটা ভালোই হয়েছে। মাশরাফির সবুজ দলের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩২০ রানের স্কোর করেন সাকিবরা। পরে সবুজ দল ৪২.২ ওভারে ১৮৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। রুবেল ২১ ও রাজু ৫১ রানে ৩টি করে উইকেট নেন।

প্রস্তুতি ম্যাচের প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল ব্যাটসম্যান ও বোলারদের ঝালিয়ে নেওয়া। সে কারণেই সাকিবের লাল দলে ছিলেন তারকা ব্যাটসম্যানরা। আর মাশরাফি নেতৃত্বে সবুজ দলে ছিলেন তারকা বোলাররা।

এ ম্যাচে কোনো উইকেট পাননি মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি ১০ ওভার বোলিং করে ৪৭ রানে নিয়েছেন দুই উইকেট। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও সাইফ উদ্দীনও। ত্রি-দেশীয় সিরিজে ম্যাচগুলো হবে ডে-নাইট। খেলা শুরু হবে বেলা ১২টা থেকে। সে কারণেই কালকের প্রস্তুতি ম্যাচটি শুরু করা হয়েছিল একই সময়ে। ত্রি-দেশীয় সিরিজের প্রস্তুতির জন্য কোনো ঘাটতি রাখতে চায় না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

সর্বশেষ খবর