চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ কেউ জয় দিয়ে লিগ শেষ করতে পারল না। চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী গোলশূন্য ড্র করেছে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে। অন্যদিকে রানার্স-আপ শেখ জামাল ধানমন্ডি হেরে যায় ফরাশগঞ্জের কাছে। আগের ম্যাচে শেখ জামালকে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে ঢাকা আবাহনী। পেশাদার লিগে এটি তাদের টানা দুই ও ষষ্ঠ শিরোপা। ঝুলে ছিল রানার্স-আপের ভাগ্য। তাও নিষ্পত্তি হয়ে যায় সাইফ স্পোর্টিংয়ের কাছে চট্টগ্রাম আবাহনীর হারে। এক ম্যাচ আগে শেখ জামালও রানার্স-আপ হয়। দুই দলের হাতে গতকালই ট্রফি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ট্রফি বিতরণের রাতে ফরাশগঞ্জ রীতিমতো চমক দেখিয়েছে। ম্যাচটি শেখ জামালের কাছে ততটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। তার পরও ধারণা ছিল দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয় দিয়ে লিগ শেষ করবে তারা। প্রথম পর্বে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ফরাশগঞ্জকে। অথচ কাল ঘটল উল্টো। ফরাশগঞ্জ গোল উৎসবে মেতেছিল। ৩-১ গোলে শেখ জামালকে হারাবে কেউ কি ভেবেছিল? চ্যাম্পিয়ন আবাহনী এবার প্রথম পরাজয়ের স্বাদ নিয়েছিল এই ফরাশগঞ্জের কাছেই। তার পরও গতকালের ফলটিই ছিল এবারের লিগে বড় চমক। কতটা নিষ্প্রাণ ছিল শেখ জামাল! প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে পিছিয়ে যায়। সলোমন কিং ও রাফায়েল— এ দুই বিদেশি এবার মাঠ কাঁপিয়েছেন। তাদেরও কাল মাঠে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ফরাশগঞ্জের এই জয়ের নায়ক নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড চিনেডু। ২৪ মিনিটে তারই গোলে এগিয়ে যায় পুরান ঢাকার দলটি। ৪ মিনিট পর পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনিই। অযথা ডি বক্সের ভিতর ফাউল করে বসেন শেখ জামালের গোলরক্ষক নাইম। স্পট কিক থেকে গোল করতে বেগ পেতে হয়নি চিনেডুকে। ৩৫ মিনিটে তারই বাড়িয়ে দেওয়া বলে আলমগীর ব্যবধান ৩-০ করেন। ৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও ম্যাচে ফেরার রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু শেখ জামাল দ্বিতীয়ার্ধেও জ্বলে উঠতে পারেনি। ৮৯ মিনিটে সলোমনের সান্ত্বনাসূচক গোলটি ছিল একমাত্র প্রাপ্তি। এমন স্মরণীয় জয়ের পরও এখনো রেলিগেশনের শঙ্কায় দুলছে ফরাশগঞ্জ। ২২ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১৭। এক ম্যাচ কম খেলে রহমতগঞ্জের ১৫। রহমতগঞ্জ জিতে গেলেই টিকে যাবে। তা না হলে রক্ষা পাবে ফরাশগঞ্জ। দ্বিনের দ্বিতীয় ম্যাচে দুই আবাহনী লড়লেও ম্যাচটি ছিল সাদামাটা। ঢাকা আবাহনী ও চট্টগ্রাম আবাহনী কেউ তেমন গোলের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। গোলশূন্য ড্র হয়।