বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

হলো না মালদ্বীপ জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

হলো না মালদ্বীপ জয়

মঙ্গলবার মালেতে এএফসি কাপে সাইফ ও টিসি স্পোর্টসের ম্যাচের উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত

পরবর্তী রাউন্ডে যেতে পারল না সাইফ স্পোর্টিং। এএফসি কাপ বাছাই পর্বে দুই ম্যাচ হেরে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশের দলটি। মালদ্বীপ রানার্সআপ টিসি স্পোর্টস ঢাকায় ১-০ ও মালতে ৩-১ গোলে জিতে গ্রুপ পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। সত্যি বলতে কি সাইফ পরবর্তী রাউন্ডে যাবে সেভাবে আশাও করেনি ফুটবলপ্রেমীরা। প্রতিপক্ষ টিসি স্পোর্টসকেই ফেবারিট ধরা হয়েছিল। গত বছর চট্টগ্রামে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছিল তারা।

যাক বিদায় নিলেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে সাইফের অভিষেক হতাশাজনক নয়। দক্ষিণ এশিয়া ফুটবলে মালদ্বীপ বেশ এগিয়ে গেছে। এক সময় তাদের জাতীয় বা ক্লাবগুলো বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াইতেই পারত না। গোলের বন্যায় ভেসে যেত। দৃশ্যটা এখন পাল্টে গেছে। বাংলাদেশ জাতীয় দল দীর্ঘদিন ধরে মালদ্বীপকে হারাতে পারছে না। ক্লাব পর্যায়েরও একই অবস্থা বলা যায়।

অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারবে সাইফ। তা আর হয়নি, বরং চোখে পড়ার মতো পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে। আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিংয়ে যাই অবস্থান থাকুক না কেন সাইফের খেলা ছিল প্রশংসনীয়। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সাইফ ১-০ হেরেছে। অথচ ম্যাচের যে চেহারা তাকে সাইফ যদি ৪-১ গোলে জিতেও যেত অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। অনেক দিন পর ফুটবলারদের গতিময় খেলা চোখে পড়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের পর আক্রমণ। টিসি স্পোর্টিসকে দাঁড়াতেই দেয়নি। একটা নয় গোলরক্ষক পরাস্ত হলেও পাঁচবার বল ক্রসবার লেগে ফেরত আসে। এরচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে?

মালদ্বীপের মাটিতে তাদের শীর্ষ পর্যায়ে ক্লাবকে হারানো কঠিনই বলা যায়। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে টিসিকে ২-০ গোলে হারাতে হতো সাইফকে। ঢাকায় দারুণ খেলার পর অনেকে আশায় ছিলেন পেরেও যেতে পারে সাইফ। মালদ্বীপ জয় করে দেশে ফিরবেন জামালরা এ প্রত্যাশা ছিল সবারই। না, আশা আর পূরণ হয়নি। হলো না মালদ্বীপ জয়। অ্যাওয়ে ম্যাচে ৩-১ গোলে হেরে গেছে সাইফ। প্রথমার্ধে সমান তালে লড়ে ম্যাচ ১-১ ড্র রাখে। দ্বিতীয়ার্ধেও জ্বলে উঠে। কিন্তু শেষের দিকে এসে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হেরে যায়।

চট্টগ্রাম আবাহনী ও মোহামেডানের একজন খেলোয়াড় নিয়ে দলের শক্তিও বাড়িয়েছিল। বড় টুর্নামেন্টে নামার আগে প্রস্তুতিটা সেভাবে হয়নি। লিগ ও স্বাধীনতা কাপ খেলে খেলোয়াড়রা ক্লান্ত ছিলেন। বিষয়টি সামনে গুরুত্ব দিতে হবে। এএফসি কাপ ক্লাব টুর্নামেন্ট হলেও একেকটা দল দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। প্রস্তুতিটাও হওয়া উচিত কঠিনভাবে। সাইফ বিদায় নিয়েছে। এএফসি কাপে এখন সরাসরি গ্রুপ পর্বে খেলবে পেশাদার লিগ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী। মার্চে তাদের খেলা। এখানে তারা শক্তিশালী প্রতিপক্ষকেই পাচ্ছে। টুর্নামেন্টের জন্য আবাহনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনুশীলনে নামিয়ে বিদেশি খেলোয়াড়দের যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। গত বছর এএফসি কাপে অ্যাওয়ে ম্যাচে সুবিধা করতে না পারলেও ঘরের মাঠে আবাহনী দুর্দান্ত খেলেছে। সুতরাং গ্রুপ যতই শক্তিশালী হোক না কেন জ্বলে ওঠার সামর্থ্য রাখে। চোখ থাকবে এখন আবাহনীর দিকেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর