ফুটবলে আফগানিস্তান প্রতিপক্ষ হলে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা কমই। ক্রিকেটে শক্তিশালী হলেও ম্যাচ জয়ের শতভাগ নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। কিন্তু হকিতে যখন আফগানিস্তান প্রতিপক্ষ তখন বাংলাদেশের জয়ের ব্যাপারে কারও আর সংশয় ছিল না। গতকাল মাসকাটে এশিয়ান গেমস বাছাইপর্বে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আলোচনা একটাই ছিল আন্তর্জাতিক হকিতে জিমিরা গোলের নতুন রেকর্ড গড়বেন কিনা। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। আফগানদের গোলের বন্যায় ভাসিয়ে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েছে।
গ্রুপপর্বে আগের দুই ম্যাচে বাংলাদেশ ৫-০ থাইল্যান্ড ও হংকংকে ৫-১ গোলে হারিয়েছিল। গতকাল আফগানিস্তানকে বিধ্বস্ত করল ২৫-০ গোলে। মিনিটে মিনিটে গোল, যার নোট নিতে অ্যাম্পায়াররা হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিলেন। হকি ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য অভিজ্ঞ সংগঠক মো. ইউসুফের তথ্য অনুযায়ী এর আগে জাতীয় দলের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ছিল ১৩-০। ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে থাইল্যান্ডকে ১৩-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। অবশ্য ৩০-০ গোলে জেতার রেকর্ড রয়েছে। সেটা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দলের। ২০০৪ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত চ্যালেঞ্জ কাপে বাংলাদেশের যুবারা ৩০-০ গোলে হারায় আফগানদের। গতকালকের ম্যাচে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে যেন গোল প্রতিযোগিতা চলে। অসহায় আফগানিস্তানকে পেয়ে কে কত গোল পাবেন সেটাই হয়ে উঠে মুখ্য বিষয়। রোমান সরকার ও ইমন ৪টি, চয়ন, জিমি, আশরাফুল, আরশাদ ৩টি, শিঠুল ও নিলয় ২টি ও নাইমুদ্দিন ১টি করে গোল করেন। বার বার আক্রমণ চালাচ্ছিল বাংলাদেশ। ডিফেন্স বলে কোনো পজিশনই ছিল না। যে অবস্থা তাতে মনে হচ্ছিল পোস্ট ছেড়ে বাংলাদেশের গোলরক্ষকও গোল করে ফেলতে পারেন।