শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

গ্রুপে বাংলাদেশ ফেবারিট

ঢাকায় সাফ ফুটবল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

গ্রুপে বাংলাদেশ ফেবারিট

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলবে তা স্বপ্নই। বাছাই পর্ব পেরোনোর যোগ্যতা না থাকায় সাফ ফুটবলই দেশগুলোর কাছে বিশ্বকাপে পরিণত হয়েছে। এর চেয়ে বড় টুর্নামেন্টে শিরোপা জেতার সামর্থ্য কারও নেই। বাংলাদেশ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে একবার। ২০০৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আসরে মালদ্বীপকে হারিয়ে লাল-সবুজের দল ট্রফি জেতে। এখন তো সাফে শিরোপাটাই স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। গত তিন আসরে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। গ্রুপ পর্বও পেরোতে পারেনি। অন্যতম ফেবারিট হয়েও টানা তিন আসরে সেমিফাইনালের বাইরে বাংলাদেশ। এমন ভরাডুবিতে দর্শকরাও ফুটবল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শুরু হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। ২০০৩ ও ২০০৯ সালেও টুর্নামেন্টের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। এবার শক্তিশালী আফগানিস্তান নেই। তাই সাত দলকে নিয়ে গ্রুপিংও নির্ধারণ হয়ে গেছে। স্বাগতিক বাংলাদেশ পড়েছে ‘এ’ গ্রুপে। প্রতিপক্ষ হচ্ছে নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটান। ‘বি’ গ্রুপে ভারত, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা। গ্রুপে নেপাল শক্তিশালী হলেও পাকিস্তান ও ভুটান ততটা নয়। তাই সেমিফাইনাল খেলার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশে গ্রুপ নিয়ে আলোচনা হয় দুই অভিজ্ঞ কোচ মারুফুল হক ও শফিকুল ইসলাম মানিকের সঙ্গে। গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মারুফ ছিলেন বাংলাদেশের কোচ। তিনি সুষ্ঠু করে বললেন, ‘এবার গ্রুপে বাংলাদেশই ফেবারিট। নেপালকে খাটো করে দেখার উপায় নেই। তার পরও দীর্ঘদিন লিগ না হওয়ায় তাদের ফুটবল পরিচর্যাটা সেইভাবে নেই। পাকিস্তান তো সাসপেন্ডের কারণে দীর্ঘদিন ফুটবলের বাইরে। ভুটানের কাছে ২০১৬ সালে হারলেও ভয়ের কিছু দেখছি না। সুতরাং ঘরের মাঠে ফুটবলাররা সামর্থ্যের পরিচয় দিতে পারলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই বাংলাদেশ সেমিতে খেলবে আশা রাখি। সেমিতে আবার অন্য হিসাব। আমি মনে করি গ্রুপের তিন ম্যাচ জিততে পারলে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’

জাতীয় দলের সাবেক কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘গ্রুপে বাংলাদেশকেই ফেবারিট বলব। এখানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী নেপাল। পাকিস্তানের সাফ গেমসে সোনা জেতার রেকর্ড থাকলেও ফুটবলে এখন তাদের সেই শক্তিটা নেই। নিষিদ্ধ থাকার কারণে তাদের ফুটবলাররা ছিল খেলার বাইরে। এক ম্যাচ হারাতে ভুটানকে নিয়ে অনেকই ভয় করছে। আমি বলব ওই হারটা নিছক দুর্ঘটনা ছিল। বাংলাদেশ নিশ্চয় ঘরের মাঠে সতর্ক হয়ে খেলবে। যতটুকু অনুশীলন হয়েছে আমি পজিটিভই মনে করছি। হাতে এখনো সময় আছে। তাই ফুটবলাররা আরও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারলে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারবে। ফাইনাল খেলতে পারবে কিনা জানি না। তবে সেমিতে ওঠার ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। এমন সুযোগ পাওয়ার পরও যদি না পারে তাহলে ফুলবল ঘিরে আরও হতাশা সৃষ্টি হবে; যা কারোর কাম্য নয়।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর