চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন। বাদ দেওয়ার ব্যাখ্যায় বিসিবি জানিয়েছে অফ ফর্মের কথা। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত চুক্তি থেকে বাদ পড়ার জবাব দিলেন ব্যাট হাতে। বিসিএলে দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ম্যাচটি ড্র হয়েছে। ম্যাচে দক্ষিণাঞ্চলের পক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
জাতীয় দলে দারুণ অভিষেক। তারপরও নিয়মিত হতে পারেননি নানা কারণে। সর্বশেষ বাদ পড়েছেন চোখের ইনফেকশনের কারণে। সে জন্য অবশ্য বিপিএল ও প্রিমিয়ার ক্রিকেটে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। এখন রান করছেন বিসিএলে। গতকাল দলের প্রয়োজনে জ্বলে উঠে সেঞ্চুরি করে দলকে শক্ত অবস্থান দেন মোসাদ্দেক সৈকত। রাজশাহী শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে ৩৭৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে মধ্যাঞ্চল দিন শেষ করে ৫ উইকেটে ১৫৮ রান তুলে। এর আগে মোসাদ্দেকের অপরাজিত ১০২ রানে ভর করে ৮ উইকেটে ৪৮৪ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণাঞ্চল। আগের দিনের ২২ রান নিয়ে খেলতে নেমে সেঞ্চুরি তুলে নেন মোসাদ্দেক। অষ্টম উইকেট জুটিতে নাঈম হাসানকে নিয়ে যোগ করেন ১২১ রান। ১০২ রানের ইনিংসটি খেলেন মোসাদ্দেক ১০৭ বলে ১০ চার ও ৪ ছক্কায়। ২৮ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে এটা তার নবম সেঞ্চুরি। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণাঞ্চলের সংগ্রহ ছিল ১৯১ রান। মধ্যাঞ্চলের সংগ্রহ ছিল প্রথম ইনিংসে ৩০২। ১১১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে মোসাদ্দেকের সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ৪৮৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণাঞ্চল। মোসাদ্দেক সেঞ্চুরি করলেও ম্যাচসেরা হয়েছেন আবদুর রাজ্জাক রাজ। এই ড্রয়ে দক্ষিণাঞ্চলের পয়েন্ট ৫ ম্যাচে ৪৪। ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে উত্তরাঞ্চল।
সংক্ষিপ্ত স্কোরদক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস : ১৯১
মধ্যাঞ্চল : প্রথম ইনিংস ৩০২ ও দ্বিতীয় ইনিংস : ১৫৮/৫, ৫৫ ওভার (সাইফ ৪৩, সাদমান ১৮, মজিদ ৬০*, মার্শাল ১৬। রাজ্জাক ৩/৭৩, নাঈম ১/৫৩, কামরুল রাব্বি ১/২৮)।
দক্ষিণাঞ্চল : প্রথম ইনিংস ১৯১ ও দ্বিতীয় ইনিংস : ৪৮৪/৮(ডি.), ১০৮.৩ ওভার (জিয়াউর ২৫, মোসাদ্দেক ১০২*, নাঈম ৪৩। আবু হায়দার ২/৮০, এবাদত ১/১০১, মোশাররফ ৩/১১০, তানভীর ২/৮৫)।