বীরেন্দর শেবাগের ব্যাটিংয়ে ছিল অন্যরকম সৌন্দর্য। যখনই ব্যাটিং করতেন, তখন ব্যাটকে খাপ খোলা তলোয়ার বানিয়ে কচুকাটা করতেন প্রতিপক্ষ বোলারদের। শেবাগের সেই সৌন্দর্য পুরোটাই এখন ক্রিস গেইলের ব্যাটে। বরং কোনো কোনো সময় গেইল আরও বেশি আক্রমণাত্মক। আরও বেশি ধ্বংসাত্মক। ‘মেজাজি’ ক্রিকেটার গেইল নিজের দিনে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন, সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা লেগ স্পিনার রশিদ খান, সাকিব আল হাসানরা। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে জয়ী ম্যাচে ৬৩ বলে ১০৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। এক চারের বিপক্ষে ১১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। অথচ আইপিএলের কোনো দল তাকে নেওয়ার আগ্রহ দেখায়নি। দু-দুবার নিলামে তার নাম উঠলেও কেনেনি কোনো দল। শেষ পর্যন্ত নিজের পূর্বসূরি গেইলকে কিনে নেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের পরিচালক শেবাগ। এজন্য শেবাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে গেইল বলেন, ‘শেবাগ তুমি আমাকে কিনে মান বাঁচিয়েছো আইপিএলের।’
বয়স ৩৯। এই বয়সে ক্রিকেট খেলছেন এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা খুব কম। এই বয়সে শরীর ধীরগতির হয়ে পড়ে। সেই ভাবনায় অনেকেই গেইলের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। সে জন্যই পাঞ্জাব দল প্রথম দুই ম্যাচে সুযোগ দেননি। খেলিয়েছেন সর্বশেষ দুই ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে ৬৩ রানের পর পরশু খেলেছেন সেঞ্চুরির দ্যুতি ছড়ানো ইনিংস। টি-২০ ক্রিকেটে এটা তার ২১ নম্বর সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পর মিডিয়ার মুখোমুখিতে বলেন, ‘রান করার বিষয়ে আমি সবসময়ই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। অনেকেই বলেন আমার প্রমাণ করার অনেক কিছু আছে। কিন্তু আমি বলব— ‘শেবাগ, তুমি আমাকে নিয়ে আইপিএলকে বাঁচিয়েছো!’
বিপিএলে গেইল খেলে গেছেন চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সের পক্ষে। সেখানেও ব্যাট হাতে তিনি মাঠ মাতিয়েছেন।