মঙ্গলবার, ১৯ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা
আসলামের কলাম

রোনালদো সত্যিই অসাধারণ

রোনালদো সত্যিই অসাধারণ

মেসি, নেইমার, সুয়ারেজ, থমাস মুলার বা গ্রিজম্যান যাদের সুপারস্টার বলা হয় তারা কেউ প্রথম ম্যাচে আলো ছড়াতে পারেননি। সেদিক দিয়ে ব্যতিক্রম ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। স্পেনের বিপক্ষে তার দল পর্তুগাল ৩-৩ গোলে ড্র করেছে। এবার নয়, আমার দৃষ্টিতে এটিকে বিশ্বকাপ ইতিহাসে অন্যতম সেরা ম্যাচই বলব। রোনালদো শুরুতেই ভক্তদের হ্যাটট্রিক উপহার দিয়েছেন। তার তিনটি গোলই ছিল অসাধারণ। বিশেষ করে ফ্রি কিকে তার তৃতীয় গোলটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা গোলই বলব। রোনালদো যদি তার ফর্ম ধরে রাখতে পারে পর্তুগালকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারবেন।

আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের সমর্থক গোটা দুনিয়াজুড়েই। বিশেষ করে বাংলাদেশে উন্মাদনা থাকে অন্যরকম। দুই প্রিয় দল শুরুতে হোঁচট খাওয়াতে সমর্থকদের ঈদটাই অনেকটা ম্লান হয়ে গেছে। শক্তির বিচারে আর্জেন্টিনার কাছে আইসল্যান্ডের পাত্তা পাবারই কথা নয়। অথচ কৌশল খাটিয়ে মেসিদের রুখে দিয়েছে নবাগত দলটি। দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা শুরু করেছিল চেনা রূপেই। মনে হচ্ছিল সহজভাবেই জিতে যাবে তারা। কিন্তু এগিয়ে গিয়েও বেশিক্ষণ লিড ধরে রাখতে পারেনি। মেসিকে প্রথম ম্যাচেই দেখে মনে হয়েছে অতিরিক্ত চাপ নিয়ে খেলছেন। যত বড় তারকা হোক না কেন চাপ নিয়ে স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারেন না। মেসি যে সহজ সহজ গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন তাও বলা যাবে না। অতিরিক্ত প্রেসারেই মেসি তার ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি। পেনাল্টি মিস হতেই পারে। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে মারতে গিয়েই বল গোলরক্ষকের হাতে তুলে দেন।

ব্রাজিলের খেলাটা ভালোই লাগছিল। গোলও পেয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে সুইজারল্যান্ড সমতায় ফিরে আসে। কর্নারে যে গোলটি হয় এ জন্য ব্রাজিলের গোলরক্ষককে দায়ী করা যায়। তিনি একটু পেছনে থাকলেই বল পাঞ্চ করে উড়িয়ে দিতে পারতেন। আর নেইমার তার স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারেননি। বার বার ফাউলের শিকার হয়েছেন। ভয়ে ভয়ে খেলায় দলকে সেই সার্ভিসটা দিতে পারিনি। তবে মার্সেলোর প্রশংসা করতে হয়। তিনি পুরো মাঠজুড়ে খেলেছেন। চ্যাম্পিয়ন জার্মানির হারাটা অঘটন হলেও আমি বলব মেক্সিকো যদি আরও বড় ব্যবধানে জিততো অবাক হওয়ার কিছুই থাকত না। বড় দলের সঙ্গে ছোট দলের পার্থক্য কমে এসেছে। এটা ফুটবলের জন্য বড় সুসংবাদ।

শুরুতে যা দেখছি তাতে মনে হয় বিশ্বকাপ এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর