নির্ধারিত সময়ের আগেই বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। একটু আগেভাগে আসার কারণ, এখানকার জল, বায়ু ও মাটির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেওয়া। যদিও বাংলাদেশে আসার আগে ভারতের মাটিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন ক্যারিবীয় ক্রিকেটাররা। তাই এখানকার পরিবেশ অপরিচিত হবে, সেটা ভাবা অবান্তর। ২২ নভেম্বর শীতের হাওয়ায় চট্টগ্রামে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। এর আগে দুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে সফরকারীরা। ক্যারিবীয়রা যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে জোরেশোরে, তখন বদলা নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন সাকিব, মুশফিক, তাইজুলরা। গেল জুলাইয়ে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে হোয়াইটওয়াশ হয়ে এসেছেন সাকিবরা। মাত্র ৪৩ রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জায়ও ডুবেছেন। এবার ঘরের মাঠে কি পারবেন বদলা নিতে? পারবেন প্রতিশোধের নেশায় উন্মত্ত হয়ে সফরকারীদের গুড়িয়ে দিতে? ইতিহাস কিন্তু বলছে মধুর প্রতিশোধের কথা! জোগাচ্ছে আত্মবিশ্বাস।
ক্রিকেট, ফুটবল, হকি-সব ধরনের ক্রীড়াতেই প্রতিশোধ শব্দটি বেশ পরিচিত। হারজিতের ম্যাচে তকমা লাগানো হয় প্রতিশোধের। ইতিহাস বলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের প্রতিশোধ নেওয়ার মধুর রেকর্ড রয়েছে। সেটা আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই। ৭ বছর আগের ওয়ানডে ক্রিকেটে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ঘটনাটি ঘটেছিল। এবার সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আবার প্রতিশোধের হাতছানি! ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে মাত্র ৫৮ রানে অলআউটের লজ্জায় ডুবেছিল টাইগাররা। ৩ মার্চ মিরপুর স্টেডিয়ামে কেমার রোচের বিধ্বংসী বোলিংয়ে মাত্র ১৮.৫ ওভার উইকেটে টিকে ছিলেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। জুনায়েদ সিদ্দিকী ২৫ ও মোহাম্মদ আশরাফুল ১১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সেবার। ক্যারিবীয়রা ম্যাচটি জিতেছিল এক উইকেট হারিয়ে মাত্র ২২৬ বল হাতে রেখে। সাকিবরা বিশ্বকাপের লজ্জার ওই ম্যাচের প্রতিশোধ নিয়েছিলেন মাত্র সাত মাস পর। চট্টগ্রামে প্রতিশোধের ম্যাচে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব ১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে। মিরপুরে সিরিজের প্রথমটি ৪০ রানে ও দ্বিতীয়টি ৮ উইকেট জিতে নিয়ে সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলতে চট্টগ্রাম উড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখানেই সাকিবরা গুড়িয়ে দেন ক্যারিবীয়দের। ২২ ওভার স্থায়ী ছিল ক্যারিবীয়দের ইনিংস। সাকিব ও নাসির হোসেনের ঘূর্ণিতে মাত্র ৬১ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেছিলেন কিয়েরন পাওয়েল। ১১ রান করেছিলেন ব্রেথওয়েইট। কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় মিরপুরের ম্যাচের সঙ্গে। ওই ম্যাচেও বাংলাদেশের দুই জনের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ছিল যথাক্রমে ২৫ ও ১১। টাইগাররা প্রতিশোধ নিয়েছিল ১৮০ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয়ে।