সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিশ্ব জয়ে বিশ্ব রেকর্ড রিয়ালের

ক্রীড়া ডেস্ক

বিশ্ব জয়ে বিশ্ব রেকর্ড রিয়ালের

ইতিহাস গড়তে পারতো আল আইন। এশিয়ার প্রথম ক্লাব হিসেবে বিশ্ব ক্লাব কাপ জেতার বিরল রেকর্ড গড়তে পারতো। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাবটি মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম ক্লাব হিসেবে বিশ্ব ক্লাব কাপের ফাইনালে খেলেছে। অবশ্য দুই বছর আগে জাপানের কাশিমা অ্যান্টলার্স প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল খেলেছিল। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে রানার্স আপেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল অ্যান্টলার্সকে। এশিয়ান ক্লাবদের সেই ব্যর্থতা ঘুচানোর দায়িত্ব পড়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের ক্লাব আল আইনের উপর। বিশ্বের সবচেয়ে সফল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ স্বপ্ন পূরণে করতে দেয়নি আল আইনের। উল্টো ৪-১ গোলের বড় জয়ে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। পরশু রাতে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ৪-১ গোলে হারায় ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নরা। রিয়াল মাদ্রিদ প্রথম ক্লাব যারা বিশ্ব ক্লাব কাপে হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতেছে। সব মিলিয়ে চারবার চ্যাম্পিয়ন (২০১৪, ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮) হয়ে পেছনে ফেলেছে স্বদেশি আরেক পরাশক্তি বার্সেলোনাকে। বার্সেলোনা তিন বারের চ্যাম্পিয়ন (২০০৯, ২০১১, ২০১৫)। দুবার চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের করিন্থিয়ান্স (২০০০, ২০১২) এবং একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিলের সাওপাওলো (২০০৫), ইন্টারন্যাসিওনাল (২০০৬), এসি মিলান (২০০৭), ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড( ২০০৮), ইন্টার মিলান (২০১০) ও বায়ার্ন মিউনিখ (২০১৩)। ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে চারবার শিরোপা জয়ের ম্যাচে রিয়াল শনিবার রাতে দাঁড়াতেই দেয়নি আল আইনকে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো না থাকলেও দলের আক্রমণভাগকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্বকাপ ফুটবলের গোল্ডেন বল, ফিফা বিশ্বসেরা ও ব্যালন ডি’অর জেতা ক্রোয়েশিয়ার লুকা মডরিচ। তার নেতৃত্বে স্প্যানিশ ক্লাবটি এগিয়ে যায় ১৪ মিনিটে। সান্তিয়াগো সোলারির শিষ্যরা গোছানো আক্রমণে গোল উচ্ছ্বাসে মাতে। ডান প্রান্ত থেকে লুকাস ভাসকেসের বাড়ানো বল করিম বেনজেমা বুক দিয়ে নামিয়ে ব্যাক পাস করেন ফাঁকায় দাঁড়ানো মডরিচকে। ক্রোট স্ট্রাইকার ঠান্ডা মাথায় বল ধরে বাঁ পায়ের ভলিতে এগিয়ে নেন রিয়ালকে (১-০)। রিয়ালের হয়ে কোনো ফাইনালে এটাই তার প্রথম গোল। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে সোলারির দল মরিয়া হয়ে উঠে গোল ব্যবধান বাড়াতে। ৬০ মিনিটে প্রায় ২৫ মিটার দূর থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে ব্যবধান ২-০ করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার মার্কোস লরেন্তে। ৭৯ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করে সার্জিও র্যামোস। ৮৬ মিনিটে ব্যবধান ১-৩ করে আল আইনের জাপানি ফুটবলার শিওতানি। অতিরিক্ত সময়ে আÍঘাতী গোল খেয়ে বসে আমিরাতের ক্লাবটি। দলের রেকর্ড সাফল্যের দিনে আরও একটি রেকর্ড গড়েছেন টনি ক্রুজ। সব মিলিয়ে জার্মান মিডফিল্ডার প্রথম ফুটবলার হিসেবে সর্বোচ্চ ৫ বার ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ পেলেন। চারবার রিয়াল মাদ্রিদ এবং একবার জিতেছেন বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে।

সর্বশেষ খবর