ব্রাজিলের কোপা আমেরিকা জয়
ফুটবলের অসংখ্য ঘটনার মধ্যে এ বছর অন্যতম ছিল ব্রাজিলের কোপা আমেরিকা জয়। নিজেদের মাটিতে সিলেকাওরা খেলতে নেমেছিল নেইমারকে ছাড়াই। লিওনেল মেসিদের আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয়েছিল সেমিফাইনালে। কোনো কিছুই বাধা দিতে পারেনি ব্রাজিলকে। সেমিফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় ব্রাজিল। ফাইনালে তারা হারায় পেরুকে ৩-১ গোলে। ফাইনালে গোল করেন এভারটন, গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও রিচার্লিসন। নেইমারকে ছাড়াই কোপা আমেরিকা জয় করে নিজেদেরকে ফুটবলের পরাশক্তি হিসেবে নতুন করে প্রমাণ করেছিল ব্রাজিল।
এটা ছিল ব্রাজিলের নবম কোপা আমেরিকা জয়। ফুটবলের সবচেয়ে পুরনো এ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে উরুগুয়ে ১৫ বার এবং আর্জেন্টিনা ১৪ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
কাতারের চমক
কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়া নিয়ে বেশ বিতর্ক চলেছে ফুটবল দুনিয়ায়। তবে তারা যে সত্যিই যোগ্য, এর প্রমাণ দিয়েছে এশিয়ান কাপ জয় করে। গত ফেব্রুয়ারিতে এশিয়ান কাপের ফাইনালে জাপানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার। অথচ এই দলটা এশিয়ান কাপে কখনো ফাইনালই খেলেনি। এশিয়ান ফুটবলের জন্য এটা বড় এক চমকই ছিল। গত ফাইনালে কাতারের পক্ষে একটি করে গোল করেন আলমোয়েজ আলি, আবদুল আজিজ হাতেম ও আকরাম হাসান আফিফ।
এশিয়ান কাপে সর্বোচ্চ ৪ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জাপান। এছাড়াও সৌদি আরব ও ইরান তিনবার করে এশিয়ার সেরা হয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
বেশ কয়েকটা মৌসুম ধরেই দুর্দান্ত খেলছিল লিভারপুল। গত মৌসুমে ইংলিশ লিগ জয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল তারা। অবশ্য উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করেন মোহাম্মদ সালাহরা। ২০০৫ সালের পর প্রথমবারের মতো ইউরোপসেরার গৌরব অর্জন করে অলরেডরা। ফাইনালে লিভারপুল ২-০ গোলে পরাজিত করে ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যামকে। মোহাম্মদ সালাহ ছাড়াও দলের পক্ষে গোল করেন অরিগি। এই নিয়ে ছয়টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা শোকেসে তুলল লিভারপুল। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ ১৩ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এরপরই আছে এসি মিলান (৭টি)। ৫ বার করে এ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখ।
মেসির ষষ্ঠ ব্যালন ডি’অর
কে হবেন বর্ষসেরা? লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পাশাপাশি নাম ছিল লিভারপুলের ডাচ ডিফেন্ডার ফন ডাইকেরও। তবে সবাইকে পেছনে ফেলে ফিফার দি বেস্ট ম্যান পুরস্কার জিতেন আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি। এর পর পরই শুরু হয় ব্যালন ডি’অর নিয়ে বিতর্ক। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন এখানে মেসি পারবেন না। তবে ব্যালন ডি’অর ট্রফিও মেসির হাতেই ওঠে। এই নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো ব্যালন ডি’অর ট্রফি জিতলেন লিওনেল মেসি। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ৫টি জিতে আছে দুইয়ে।
মেসি ও রোনালদোর পর এই তালিকায় আছেন ফ্রান্সের মিশেল প্লাতিনি, নেদারল্যান্ডের ইয়োহান ক্রুইফ ও মারকো ফন বাস্তেন। তিনজনেই জিতেছেন তিনটি করে ব্যালন ডি’অর ট্রফি।