১৫ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল মাঠে গড়াবে। এর আগে পাঁচটি আসর হলেও কখনো শিডিউল মানা হয়নি। যা বাফুফের বড় ব্যর্থতাই বলা যায়। আরেকটি ব্যাপার লক্ষণীয় যে জাতির জনকের নামে টুর্নামেন্ট হলেও কখনো জমজমাট হয়নি। দেখা মেলেনি মানসম্পন্ন বিদেশি দলের। আকর্ষণ করার মতো টুর্নামেন্ট ছিল ১৯৯৬ সালেই। মোহামেডান-আবাহনী সাদা ও নীল নামকরণে টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। ভারতের দুই বিখ্যাত ক্লাব ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানও খেলে যায়। দ্বিতীয় আসরে ব্রাজিল ও জাপানি দলের দেখা মিললেও মানসম্পন্ন ছিল না। সালাউদ্দিন সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের আকর্ষণ বাড়াতে নামিদামি দলকে আনবেন। তার আমলে তিনটি বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ হতে যাচ্ছে। অথচ নিম্নসারির দলেরই দেখা মিলছে। এবারও ঘুরে ফিরে সেই একই দৃশ্য। এবার প্রথমবারের মতো তিন আফ্রিকান দেশ খেলতে আসবে। যাদের কিনা ফুটবলে নাম ডাক নেই। কথা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ কি এভাবেই চলবে? কখনো কি নামকরা দলের দেখা মিলবে না। বঙ্গবন্ধু নামে টুর্নামেন্ট। বিশেষ করে জাতির জনকের শতজন্মবার্ষিকীর টুর্নামেন্টে বড় দলের দেখা মিলছে না তা কি ভাবা যায়। বিলুপ্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপেও ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, হাঙ্গেরি, উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইরাকের মতো শক্তিশালী দল খেলে গেছে। তাদেরকে কি বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে আনা যায় না। এখানে সদিচ্ছার অভাব নাকি সাংগঠনিক ব্যর্থতা। বাফুফে সহ-সভাপতি বাদল রায়ও এ নিয়ে হতাশ। তিনি বলেন অতীতে যাই ঘটুক না কেন, এবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ জাতির জনকের শতজন্মবার্ষিকী উপলক্ষে। অথচ এ নিয়ে কোনো সাড়া নেই। যেসব দল আসছে তারা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলার যোগ্যতা রাখে না। এ নিয়ে সভাপতি কারও সঙ্গে আলোচনা করেননি। এখানে আসলে আমাদের কিছুই করার নেই।