মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
মাশরাফির প্রচারণা

‘এখন যৌবন যার বাসায় থাকার তার শ্রেষ্ঠ সময়’

‘প্রবাসী ভাই ও বোনেরা যারা দেশে আসছেন আপনাদের অনেক কিছু করার আছে। প্রথম হচ্ছে নিয়মকানুন অবশ্যই মেনে চলা। কোয়ারেন্টাইন শব্দটা না ব্যবহার করে আমি বলব গৃহবন্দী থাকা।’

ক্রীড়া প্রতিবেদক

 ‘এখন যৌবন যার বাসায় থাকার তার শ্রেষ্ঠ সময়’

‘এখন যৌবন যার বাসায় থাকার তার শ্রেষ্ঠ সময়... নিরাপদ থাকুন, ঘরে থাকুন।’ মাশরাফি বিন মর্তুজা তার ফেসবুক ফ্যানপেজে এমন এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ছবিওতে একই কথা লেখা। যেখানে যুক্ত করা হয়েছে আরও একটি লাইন, ‘এখন যৌবন যার দেশকে বাঁচানোর তার শ্রেষ্ঠ সময়।’ কবি হেলাল হাফিজের কবিতার চরণের সঙ্গে মিল রেখে মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ওয়ানডের সফল অধিনায়ক। কবির ‘নিষিদ্ধ সম্পাদীয়’ কবিতার চরণ দুটি -

 

এখন যৌবন যার মিছিলে যাওয়ার তার শ্রেষ্ঠ সময়

এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার তার শ্রেষ্ঠ সময়...’

 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে গোটা বিশ্ব স্থবির হয়ে গেছে। সর্বত্রই আতঙ্ক। বিশ্বে এখন মরণঘাতী এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। তাই প্রতিরোধই একমাত্র উপায়। অন্যের সংস্পর্শ যতটা কমানো যায় ততই মঙ্গল। ভাইরাস যাতে নতুন নতুন নেটওয়ার্ক তৈরি করতে না পারে সেটাই করণীয়। এ লক্ষ্যে ঘরবন্দী হওয়ার বিকল্প কিছু নেই। মাশরাফি চাইছেন তার ভক্তরাও যেন বাইরে বেশি বের না হন। তারা যেন নিরাপদ থাকেন সে উদ্দেশেই তার ভেরিফাইড ফেসবুক ফ্যানপেজে পোস্টটি করেছেন।

গত রাতে একটি ভিডিওবার্তাও দিয়েছেন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই এখন বিপর্যস্ত। সবাই করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত। আতঙ্কিত না হওয়ারও কারণ নেই। পৃথিবীর বড় বড় দেশগুলো এখন বিপর্যস্ত। কোনোভাবেই সামলাতে পারছে না। এখন আমাদের কী করণীয়? দেখছি বড় বড় দেশ কীভাবে ভেঙে পড়ছে। আমাদের দেশ এমনিতেই ছোট। মানুষের সংখ্যা অনেক। আল্লাহ না করুন, আমাদের যদি এমন সংকট আসে, কী হতে পারে আমরা বুঝতে পারছি।  মুহূর্তে করণীয় অনেক কিছু আছে। যেগুলো আমি

মনে করি সবারই করা উচিত...।’

প্রবাসীদের উদ্দেশে মাশরাফি বলেন, ‘প্রবাসী ভাই ও বোনেরা যারা দেশে আসছেন বা দেশে থাকেন; বেড়াতে গিয়েছিলেন, আসছেন- আপনাদের অনেক কিছু করার আছে। প্রথম হচ্ছে নিয়মকানুন অবশ্যই মেনে চলা। কোয়ারেন্টাইন শব্দটা না ব্যবহার করে আমি বলব গৃহবন্দী থাকা। সেটা পরিবার নিয়ে নয়, আলাদা ১৪ দিন থাকা। আপনি যদি অসুস্থ না হন পরিবারকে নিয়ে ঘরে থেকে- যতক্ষণ চিকিৎসক কিংবা সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ঘোষণা না করছেন যে আমরা নিরাপদ, ততক্ষণ পর্যন্ত ঘরে থাকা...।’

সর্বশেষ খবর