ডাগ আউটে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলার পূরণের অপেক্ষায়, তখন ছিটকে পড়ার শঙ্কায় থাকা পিএসজি রংধনুর সাতরঙে সাজানো প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে। এক গোলে পিছিয়ে পড়েও ২-১ গোলের অবিশ্বাস্য জয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল পৌঁছায় ফরাসি ক্লাবটি। এর আগে পিএসজি ১৯৯৫ সালে প্রথম ও শেষবার খেলেছিল সেমিতে। প্রথমবারের মতো ফাইনালে পিএসজি মুখোমুখি হবে লিপজিগ ও অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের জয়ী দলের বিপক্ষে।
করোনাভাইরাসের জন্য চার মাস পর ফের শুরু হয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। করোনা বাধা এবং সময়ের টানাপড়েনে সিঙ্গেল লেগ কোয়ার্টার ফাইনাল নির্ধারণ করে।
অসাধারণ ফুটবল খেললেও গোলের দেখা পাননি ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা নেইমার। ম্যাচের শুরুতেই আটলান্টার গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান তারকা। ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করায় হতাশ হয়ে পড়েন মাঠের বাইরে থাকা বিশ্বকাপ জয়ী তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। পর মুহূর্তেই দুটি সুযোগ সৃষ্টি করেও গোল করতে পারেনি আটলান্টা। অবশেষে ২৬ মিনিটে বহু আরাধ্য গোলের দেখা পায় আটলান্টা। সতীর্থের পাস ধরে আটলান্টাকে উৎসবে ভাসান মারিও পাসালিচ। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে ৮৯ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচে আটলান্টা এগিয়েছিল। সময় শেষের দিকে গড়াতে থাকলে জয়োৎসব করতে থাকে আটলান্টা। কিন্তু ৯০ মিনিটে ম্যাচে ফিরে পিএসজি। ডান প্রান্ত থেকে চুপো মোটিংয়ের ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে গোল করতে পারেননি নেইমার। বল প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে ফিরলে মার্কিনিয়োস টোকায় জালে বল পাঠিয়ে অক্সিজেন দেন (১-১) পিএসজিকে। এরপর সবাই যখন অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের ম্যাচের অপেক্ষায়, আটলান্টার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন চুপো মোটিং (২-১)। ওই গোলের পরপরই খেলা শেষের বাঁশি বাজান রেফারি।