রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

এবার জেমির বিদায় ঘণ্টা!

ঘন ঘন কোচ পরিবর্তনে সমস্যাটা হচ্ছে খেলোয়াড়দেরই। তারা এক কোচের কাছে যা শিখছেন কোচ পরিবর্তন হলে তাদের নতুন কৌশল রপ্ত করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় মাঠে নিজেদের মেলে ধরাটা কঠিন হয়ে পড়ছে। দেখা যাচ্ছে এক টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হলেই কোচ চাকরি হারাচ্ছেন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এবার জেমির বিদায় ঘণ্টা!

১৯৭৩ সালে ফুটবলে জাতীয় দল গঠন হয়েছে। হাতেগোনা ট্রফিও জিতেছে বাংলাদেশ। তবে ফুটবলে যে আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা ছিল। সে বিবেচনায় গর্ব করার মতো ট্রফি জেতা সম্ভব হয়নি। কয়েক বছর ধরেই ফুটবলে করুণ অবস্থা। না আছে মান, না জনপ্রিয়তা। সত্যি বলতে কি ক্লাবগুলোই এ খেলাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। ২০০৩ সালের পর জাতীয় দল কোনো শিরোপার মুখ দেখেনি। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনাল খেলাটাই স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘন ঘন কোচ পরিবর্তনে জাতীয় দল পেছনের দিকে হাঁটছে। পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যায়  দেশিদের চেয়ে বিদেশিরাই বেশি জাতীয় দলের প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তবুও অগ্রগতির বদলে ফুটবল পেছনের দিকেই হাঁটছে।

ঘন ঘন কোচ পরিবর্তনে সমস্যাটা হচ্ছে খেলোয়াড়দেরই। তারা এক কোচের কাছে যা শিখছেন কোচ পরিবর্তন হলে তাদের নতুন কৌশল রপ্ত করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় মাঠে নিজেদের মেলে ধরাটা কঠিন হয়ে পড়ছে। দেখা যাচ্ছে এক টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হলেই কোচ চাকরি হারাচ্ছেন। অটোফিস্টার, জর্জকোটান ও নাসের হেজাজিদের মতো বিশ্বমানের কোচও এভাবে বিদায় নিয়েছেন।

দেশের স্বনামধন্য ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন টানা চার মেয়াদের বাফুফের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু এই দীর্ঘদিনেও জাতীয় দল কোনো ট্রফি দিতে পারেনি। অবশ্য একটি ক্ষেত্রে সাধুবাদ পেতেই পারে বাফুফে। ইংলিশ কোচ জেমি ডে কোনো শিরোপা উপহার দিতে পারেননি। চাকরি তার ঠিকই টিকে আছে। সালাউদ্দিন নিজেই বলেছিলেন তার কাজে তিনি সন্তুষ্ট। এটাও ঠিক ফুটবলে দলের গতি আনতে পেরেছেন এই কোচ। ৯০ মিনিটে যেখানে অর্ধেক খেলেই ফুটবলাররা হাঁপিয়ে উঠতেন সেটা অনেকটাই কেটে গেছে।

এত কিছুর পরও ফুটবল অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে জেমিকে বিদায় জানানোর কথা কি বাফুফে ভাবছে? কারণ সালাউদ্দিন তাঁর কর্মকান্ডে ভীষণ ক্ষুব্ধ। বৃহস্পতিবার নির্বাহী কমিটির সভায় তিনি বলেছেন, জেমি যা করছেন তা হতাশাজনক। সালাউদ্দিনের কথা ফুটবলারদের ট্রায়ালে ডাকা হবে অথচ কোচ স্বচক্ষে পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণ করবেন না তা হতে পারে না। মাঠে থেকে পারফরম্যান্স যাচাই-বাছাই আর বিদেশে বসে বাছাই করা এক কথা নয়। টেলিফোনে ভিডিওকল বা জুমেই কাজ ছাড়ছেন জেমি। খুব কম সময়ে কোচ জেমিকে খেলা চলাকালে দেখা গেছে। এ কেমন কাজ। এভাবে জাতীয় দল গঠন হচ্ছে বলে মাঠে তার প্রভাব পড়ছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে শুধু সভাপতি নন, জেমির কাজে অনেক সদস্যই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কোচের ওপর ফেডারেশন এখন ক্ষুব্ধ। স্বাভাবিকভাবেই তখন সন্দেহ জেগেছে তাহলে কি জেমির বিদায় ঘণ্টা বাজছে? সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, জেমিকে ছাড়ার প্রশ্নই ওঠে না। সভাপতি স্যার জরুরিভিত্তিতে কোচকে ঢাকায় আসতে বলেছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর