শুক্রবার, ৫ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা
নিউজিল্যান্ড সফর

প্রাণোচ্ছ্বাসে মাঠে অনুশীলন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রাণোচ্ছ্বাসে মাঠে অনুশীলন

প্রথম মাঠে অনুশীলন

নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে গতকাল প্রথমবারের মতো মাঠে অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। টাইগারদের চোখে-মুখে স্বস্তির হাসি। মুশফিকুর রহিম অনুশীলন করার পর ফেসবুকে হাস্যোজ্জ্বল ছবি পোস্ট করেছেন। ‘থামস-আপ’ দেখিয়ে স্ট্যাটাসে লিখেছেন ‘আট দিন কোয়ারেন্টাইনের পর অসাধারণ একটি সেশন হলো।’

দেশ কিংবা দেশের বাইরে অনুশীলন ছাড়া বসে সময় কাটানো যেন মিস্টার ডিপেন্ডেবলখ্যাত মুশফিকের কাছে শাস্তির মতো! অবশেষে সেই শাস্তি থেকে যেন মুক্তি পেয়েছেন। প্রথম বারের মতো মাঠে অনুশীলনের সুযোগ পেয়ে হাঁফ সেরে বাঁচলেন পুরো দলই।

১৪ দিন পর পুরোপুরি মুক্ত হয়ে একসঙ্গে সব ক্রিকেটার অনুশীলন করার সুযোগ পাবেন। এখন পাঁচজনের গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ক্রাইস্টচার্চের অদূরে লিঙ্কনে অনুশীলন করেছেন টাইগাররা। বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় দেখা যায় প্রাণোচ্ছ্বাসে অনুশীলন করছেন ক্রিকেটাররা।

প্রথম দিনের অনুশীলন শেষে অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেন, ‘আজকের (গতকাল) অনুশীলনে সবার আগে আমরা ফিল্ডিং নিয়ে বেশি কাজ করেছি। শর্ট ক্যাচ, হাই ক্যাচ নিয়েও কাজ করেছি। এখানে আবহাওয়া ও বাতাসের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার আছে। এজন্যই ক্যাচিং করা। এরপর আমরা ছোট ছোট সেশনে ব্যাটিং-বোলিং করেছি।’

প্রথম দিনের অনুশীলনে ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন ক্রিকেটাররা। সাইফুদ্দিনের ভাষ্য, ‘ফিটনেস নিয়েও কাজ করেছি। যেহেতু গত ৭ দিন ফিটনেসের কাজ খুব বেশি করতে পারিনি। ট্রেনারের নিদের্শনা অনুযায়ী রানিং করেছি। সামনে যতদিন সময় আছে, ছোট ছোট প্র্যাকটিস করে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব।’

দীর্ঘদিন পর কিট ব্যাগ নিয়ে নাড়াচাড়া করলেন ক্রিকেটাররা। এটাই যেন বড় স্বস্তি। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ছোট-বড় কোনো সংস্করণেই এর আগে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ব্লাক ক্যাপসদের মাটিতে সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে পড়তে হয়ে টেস্টে। কিন্তু এই সফরে টাইগাররা কিউইদের বিরুদ্ধে কোনো টেস্ট খেলতে হচ্ছে না।

২০ মার্চ সিরিজ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের পছন্দের ফরম্যাট ওয়ানডে দিয়ে। সে কারণেই আশায় বুক বেঁধে আছেন ক্রিকেটাররা। এবার যদি অধরা জয়ের দেখা মিলে। কালকের অনুশীলনের পর প্রত্যাশার কথাই জানালেন সাইফুদ্দিন, ‘প্রত্যাশা অবশ্যই থাকবে। ওয়ানডেতে আমরা অনেক ভালো দল। দিনটি যদি আমাদের হয়, সবাই যদি ভালো খেলতে পারি, ফল অবশ্যই আমাদের পক্ষে কথা বলবে। পাশাপাশি টি-২০ও আছে। যেহেতু এর আগে আমাদের প্রাপ্তির খাতা একদমই শূন্য, আমাদের চেষ্টা থাকবে এই সিরিজ থেকে কিছু নিয়ে যেন দেশে ফিরতে পারি।’

ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছেন, এবার কিছু একটা করতে চান। টাইগার দলপতি ইঙ্গিত দিয়েছেন এবার আর শূন্য হাতে ফিরতে চান না।

এখন টাইগারদের প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়ার সঙ্গে দ্রুত নিজেদের মানিয়ে নেওয়া। সে কাজই করছেন ক্রিকেটাররা। বায়ো-বাবলের ঝামেলা না থাকায় ফুরফুরে মেজাজেই খেলতে পারবেন ক্রিকেটাররা। তার আগে কোয়ারেন্টাইনের বাকি দিনগুলো ঠিক ঠাক মতো পার করাই চ্যালেঞ্জ।

সর্বশেষ খবর