রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

পেসাররাই আশার বাতিঘর

নিউজিল্যান্ড সফর

ক্রীড়া প্রতিবেদক

পেসাররাই আশার বাতিঘর

চারটি পরীক্ষা দিয়ে তামিম, মাহমুদুল্লাহ, মুশফিকরা এখন কোয়ারেন্টাইন মুক্ত। কন্ডিশনিং ক্যাম্প করছেন ছবির মতো সুন্দর শহর কুইন্সটাউনে। গতকাল ছিল ক্রিকেটারদের ছুটি। বিশ্রামের দিনে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি বানজি জাম্পিং ও জেট বোটিং করেছেন ক্রিকেটাররা। ব্যাট ও বলের লড়াইয়ের আগে যা আত্মবিশ্বাস জোগাবে তামিমদের।

২০ মার্চ ডানেডিনে নামার আগে ক্রিকেটাররা এখন পাঁচ দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্প করছেন কুইন্সটাইনে। অবশ্য দুরন্ত ফর্মে থাকা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সাফল্য পেতে ব্যাটসম্যানদের যেমন লড়াই করতে হবে, তেমনই মার্টিন গাপটিল, টম ল্যাথাম, ডেভন কনওয়েদের বিপক্ষে সাফল্য পেতে কঠিন লড়াই করতে হবে মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, আল আমিন, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলামদের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাত টাইগার পেসার সব মিলিয়ে ওয়ানডে খেলেছে ২৩৭টি। এমন একটি পেস অ্যাটাক নিয়ে কঠিন লড়াইয়েই পড়তে হবে তামিম বাহিনীকে।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে সাত পেসারের মধ্যে রুবেল, মুস্তাফিজ ও সাইফুদ্দিনের। টাইগারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০৩ ওয়ানডে খেলা রুবেলের উইকেট ১২৬টি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩ ওয়ানডেতে তার উইকেট ২২টি। ৬১ ওয়ানডেতে মুস্তাফিজের উইকেট ১১৫টি। ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিপক্ষে উইকেট ৯ ম্যাচে ১২টি। সাইফুদ্দিন ২৩ ম্যাচে ৩৪ উইকেট নিলেও কিউইদের বিপক্ষে ৪ ম্যাচে উইকেট ৩টি। তাসকিন ৩৩ ম্যাচে ৪৬ উইকেট, প্রতিপক্ষ হিসেবে পাননি নিউজিল্যান্ডকে। আল আমিন ১৫ ম্যাচে ২২ উইকেট এবং এবারই প্রথম খেলার সুযোগ রয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। হাসান মাহমুদ ২ ম্যাচ খেললেও অভিষেকের অপেক্ষায় শরীফুলের।

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এখনো জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। এবার টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম স্বপ্ন দেখছেন জয়ের। মুখোমুখি লড়াইয়ের ৩৫ ম্যাচের মোট ১৫টি খেলেছে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে। এক-দুটি ম্যাচ ছাড়া অধিকাংশ ম্যাচগুলোই ছিল একতরফা। টাইগার পেসারদের নাভিশ্বাস উঠেছে কিউই ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে। দেশের মূল স্ট্রাইক বোলার মুস্তাফিজ ২০১৯ সালে ডানেডিনে ১০ ওভারে রান দিয়েছিলেন ৯৩। যা দুই দলের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে বোলিং। একই ম্যাচেই রুবেলও ১০ ওভারে রান দিয়েছিলেন ৬৪। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত দুজন পেসার ৫ বা ততোধিক উইকেট নিয়েছেন। ২০১৩ সালে মিরপুরে রুবেল ২৬ রানে ৬ এবং ২০০৪ সালে আফতাব আহমেদ ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ৩১ রানের খরচে।

২০১০ সালে নেপিয়ারে পেসার শফিউল ৬৮ রানের খরচে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। যা এখন পর্যন্ত দেশটির মাটিতে সেরা পারফরম্যান্স।

এমন একটি অনভিজ্ঞ পেস অ্যাটাক নিয়ে সাফল্য পেতে সেরাটাই খেলতে হবে টাইগারদের।                            

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর