মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিংকে অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার অ্যাস্টন অ্যাগার বলেছিলেন ‘দুর্বোধ্য’! মুস্তাফিজের কাটারের বিপক্ষে নাভিশ্বাস উঠেছিল অসি ব্যাটসম্যানদের। কাটার মাস্টারও মিরপুরের উইকেটের ধীরলয়ের আচরণকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে বিধ্বস্ত করেছেন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের। বোলাররা যেমন সুবিধা পেয়েছেন উইকেট থেকে, তেমনই রান করতে জানবাজি রেখে ব্যাটিং করেছেন ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু সাবলীল ছিলেন না। ঘূর্ণি উইকেটে ড্রাইভ খেলে রান তুলতে নাভিশ্বাস উঠেছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে নিউজিল্যান্ড সিরিজ শুরু। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এবারও কি ধীরলয়ের উইকেট হবে? বোলাররা কি বাড়তি সুবিধা পাবেন? স্পিনাররা কি লাটিমের মতো বল ঘুরাবেন? পরিষ্কার করে কোনো উত্তর নেই। কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাও কিছু জানাননি। তবে বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান ও সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান জানিয়েছেন, বিসিবি স্পোর্টিং উইকেট বানাতে আগ্রহী। কিন্তু এবারও উইকেট বানানো হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে, ‘মিরপুরে যে ন্যাচারাল উইকেট সেটাই আমরা পাই। এর চেয়ে বেশি আশা করা কঠিন। অবশ্য আমরাও চাই খেলাটা স্পোর্টিং উইকেটে হোক। বিশেষ করে টি-২০ মতো উইকেটে হোক। কিন্তু কন্ডিশনের জন্য সেটা সম্ভব নয়। ব্যাটসম্যানরা সুবিধা পাবে, এমন উইকেটই বানানো হবে।’
বর্ষা মৌসুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজটি। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের একটি ম্যাচও ভেসে যায়নি বৃষ্টিতে। তবে একটি ম্যাচ বাঁধাগ্রস্ত হয়েছিল। এখনো বৃষ্টি হচ্ছে প্রতিদিন। বৃষ্টি বাঁধায় পড়তে পারে ভাবনায় খেলাগুলো এগিয়ে আনা হয়েছে দুই ঘণ্টা। প্রতিদিন খেলা শুরু হবে বিকাল ৪টায়। আবহাওয়া বৃষ্টি ভাবাপন্ন বলে উইকেট ড্যাম থাকে। বল আসে ধীরলয়ে। ড্রাইভ খেলা দুরূহ। স্পিনাররা সুবিধা পেয়ে থাকেন অনেক। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজেও এর বিপরীত হবে না। যদিও টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে স্পোর্টিং উইকেট চেয়েছিল বিসিবি। তবে ব্যাটসম্যানদের সুবিধার কথাই বেশি কাজ করেছে মাথায়। আবহাওয়াগত কারণে এটা হার্ড ও বাউন্সি উইকেট বানানো সম্ভব নয় মিরপুরে। এই বাস্তবতা স্বীকারও করেছেন বিসিবি অপারেশন্স চেয়ারম্যান, ‘এখন আবহাওয়ার ব্যাপারটাও নির্ভর করছে। ফেব্রুয়ারি-মার্চে যে ধরনের উইকেট পাই, কিন্তু এই সময়ে তা পাই না। কারণ আমাদের কন্ডিশনটা ওই রকম। আমরা চেষ্টা করছি উইকেটে ক্রিকেটাররা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে থাকে। আমাদের চেষ্টা থাকবে ক্রিকেটারদের জন্য উপকারে আসে এমন কিছু করার।’
এই মাঠে সবচেয়ে বেশি রান টাইগার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। ২৮ ম্যাচের ২৫ ইনিংসে তার স্কোর ৪০.৫৭ গড়ে ৫৬৮। সাকিবের রান ২৪ ম্যাচে ৪৬২ এবং মুশফিকের রান ২৬ ম্যাচে ৩৯২ রান। উইকেট সবচেয়ে বেশি সাকিবের ২৪ ম্যাচে ৩২টি। মুস্তাফিজের ২০ ম্যাচে ২৭ এবং আল আমিনের উইকেট ১৪ ম্যাচে ২৭ উইকেট। সেরা বোলিং পারফরম্যান্স ক্যারিবীয় স্পিনার কেমো পলের ৪-০-১৫-৫। সাকিবের ফিগার ৪-০-২০-৫।