সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

আবারও আফিফ-মিরাজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আবারও আফিফ-মিরাজ

তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাসরা এক একজন ম্যাচ উইনার। চরম বিপর্যয়ে দারুণ সব ইনিংস খেলে দলকে জয়োৎসবে ভাসিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটাররা। সিনিয়র এসব ক্রিকেটার থাকার পরও  দিন দিন দলের ব্যাটিং লাইনে আস্থা ও ভরসা হয়ে উঠছেন দুই তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদী হাসান মিরাজ। মিডল ও লেট মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করে এই দুই তরুণ খাঁদের কিনারায় থাকা দলকে টেনে নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরে। জোহানেসবার্গের হার্ড ও বাউন্সি উইকেটে কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডির গতি ও বাউন্সে গতকাল যখন তামিম, সাকিবরা পুরোপুরি নাজেহাল, তখন সপ্তম উইকেট জুটিতে হাল ধরেন দুই তরুণ। খাঁদের কিনারায় থাকা দলকে টেনে নিয়ে যান শক্ত হাতে। স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সপ্তম উইকেট জুটিতে রেকর্ড গড়েন দুজনে। দুজনে সপ্তম উইকেট জুটিতে ৮৬ রান যোগ করেন ১৮.২ ওভারে। তাদের গড়া রেকর্ড জুটিতে ৯ উইকেটে ১৯৪ রানের সন্মানজনক স্কোর গড়ে বাংলাদেশ।

২২ বছর বয়সী আফিফ ওয়ানডে ক্যারিয়ারের মাত্র ১২ নম্বর ম্যাচ খেলেছেন। ২৪ বছর বয়সী মিরাজ খেলেছেন ৫৭ নম্বর ম্যাচ। আফিফ একজন স্পেশালিস্ট ব্যাটার এবং মিরাজ স্পিন অলরাউন্ডার। দুই তরুণ গতকালই প্রথম দলের হাল ধরেননি, ২৩ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানের বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে রেকর্ড গড়া জুটিতে অবিশ্বাস্য জয় উপহার দিয়েছিলেন। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের ২১৬ রানের টার্গেট টপকে ৩ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ দুজনের ১৭৪ রানের অপরাজিত জুটিতে। ২১৬ রান তাড়া করতে নেমে ৪৫ রানে ৬ উইকেট  হারিয়ে পুরোপুরি কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দুই তরুণ ৩৭.৩ ওভারে ১৭৪ রান যোগ করে দলকে জয়ী করেন। আফিফ অপরাজিত ছিলেন ৯৩ রানে এবং মিরাজ ম্যাচ সেরা হন ৮১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে।

গতকাল ছিল অধিনায়ক তামিমের ৩৩তম জন্মদিন। টাইগার অধিনায়ক টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামেন। কিন্তু ১ রানের বেশি করতে পারেননি। আরেক ওপেনার লিটন সাজঘরে ফিরেন ব্যক্তিগত ১৫ রানে। প্রথম ওয়ানডেতে ৭৭ রানের ইনিংস খেলা সাকিব ক্রিজে ছিলেন ৬ বল। কিন্তু রানের খাতা খুলতে পারেননি। মুশফিক ১১ রান করেন। রাবাদা, এনগিডি, ওয়েইন পারনেলের সাঁড়াশি আক্রমণে এক পর্যায়ে ১২.৪ ওভারে ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে টাইগাররা। সেই বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তুলেন মাহমুদুল্লাহ ও আফিফ। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুজনে ৬০ রান যোগ করেন ১৪.৩ ওভারে। মাহমুদুল্লাহ ২৫ রান করেন ৪৪ বলে ৩ চারে। দলীয় ৯৪ রানে মাহমুদুল্লাহ’র বিদায়ের পর আফিফ জুটি গড়েন মিরাজের সঙ্গে। দুজনে সপ্তম উইকেট জুটিতে ১৮.২ ওভারে যোগ করেন ৮৬ রান। ৮৬ রান যোগ করে দলকে শক্ত ভিত দেওয়ার পর মাত্র ৩ বলের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরেন দুজনে। আফিফ ৭২ রান করেন ১০৭ বলে ৯ চারে। এটা তার ১২ নম্বর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। মিরাজ ৩৮ রান করেন ৪৯ বলে। দুই তরুণের ব্যাটিংয়ের মধ্যেও  বিধ্বংসী বোলিং করেন রাবাদা। ১০ ওভারের স্পেলে ৩৯ রানের খরচে ৫ উইকেট নেন। এটা তার ৮৪ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ৫ বা ততোধিক উইকেট। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং পারফরম্যান্স ১৬ রানে ৬ উইকেট। এটা ছিল তার অভিষেক ওয়ানডে এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১৫ সালে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর