আর্চারি যে একটা খেলা তা অনেকেরই জানা ছিল না। বাংলাদেশে ফেডারেশন গঠনের পর আর্চারিকে ঘিরে ক্রীড়াঙ্গনের বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। কেউ কেউ বলেছিলেন, যে খেলা মানুষ চিনে না সেখানে এত দ্রুত ফেডারেশন গড়ার অনুমতি পায় কিভাবে? শুরুর দিকে খেলোয়াড়ও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ক্রিকেট, ফুটবল বা হকির পরিবর্তে কেউ আর্চার হবে তা ভাবাও যেত না। অথচ সেই অচেনা খেলা এখন বড্ড চেনা। এ ক্ষেত্রে আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপলের কথা না বললেই নয়। মূলত তারই উদ্যোগে এ খেলা বাংলাদেশে শুরু হয়। অনেকে তিরস্কার করলেও চপল শুরুতে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছিলেন, এই আর্চারিই বাংলাদেশের সুনাম বয়ে আনবে।
চপলের সেই কথা কতটা সত্য তা ক্রীড়ামোদীরা উপলব্ধি করছে। অল্পদিনের আগমন হলেও দেশ ও বিদেশের মাটিতে আর্চারির জয়-জয়কার। ক্রিকেটতো এখন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। এ খেলায় জয় মানেই দেশ উৎসবে ভেসে যাওয়া। অভিনন্দনের ছড়াছড়ি। অথচ আর্চারিই প্রথম বিশ্বকাপ থেকে পদক জিতেছে। ইতিহাস লিখেছেন রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকীরা। একবার নয় বিশ্বকাপের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দুবার বাংলাদেশের আর্চাররা পদক জিতেছে। সাউথ এশিয়ান গেমস ও ইসলামী সলিডারিটি গেমসে বাংলাদেশের সামনে প্রতিপক্ষ দেশের আর্চাররা দাঁড়াতেই পারে না। শুটিং, অ্যাথলেটিকস ও সাঁতারে সোনা জেতা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ালেও গত এস এ গেমসে দশের মধ্যে দশটি সোনা জিতেছিল আর্চাররা। বিশ্বের কোনো গেমসে এ কৃতিত্ব কোনো দেশেরই নেই।