সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

এবার গ্রুপিং নিয়ে মুখ খুললেন তামিম

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এবার গ্রুপিং নিয়ে মুখ খুললেন তামিম

সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল- বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় দুই তারকা ক্রিকেটার। দুজনের পারফরম্যান্সের ওপর অনেকটাই নির্ভর করে টাইগারদের সাফল্য। দুজনের চওড়া ব্যাটিংয়ে বহু ম্যাচ জিতে উৎসবে ভেসেছে দল। দুজনে সমসাময়িক ক্রিকেটার। লাল-সবুজ পতাকার হয়ে দুজনের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার প্রায় একই সময়। সমবয়সী বলে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল গভীর। ক্রিকেটপাড়ায় গুঞ্জন, দুই তারকা ক্রিকেটারের মধ্যে এখন ইগো সমস্যা। সম্পর্ক শীতল। একজন আরেকজনের সঙ্গে কথা বলেন না। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে দুই তারকা ক্রিকেটারের সম্পর্ক নিয়েই টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক তামিমকে কথা বলতে হয়েছে বেশি। সম্পর্ক শীতল- বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়ে স্বাভাবিক বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আমি আর সাকিব যখন বাংলাদেশের দলের জার্সি পরে নামি, তখন আমরা দুজনই শতভাগ দিচ্ছি। আমার কাছে দলের আবহ খুব ভালো মনে হয়। ফলাফলেই সেটা দেখতে পাচ্ছেন। আমরা সব সময় ওয়ানডেতে ভালো। সর্বশেষ ৫-৬ সিরিজে ভালো করেছি। ড্রেসিংরুম ভালো না থাকলে এটা সম্ভব হতো না।’ ১ মার্চ শুরু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ। সিরিজে দলের অন্যতম ভরসা সাকিব। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে সিরিজকে সামনে রেখে শুরু হয়ে গেছে ক্রিকেটারদের অনুশীলন। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকায়, অনুশীলনে যোগ দেননি টেস্ট ও টি-২০ অধিনায়ক। ওয়ানডে অধিনায়ক বিষয়টিকে বড় করে দেখছেন না।

৩৪ বছর বয়সী তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন ২০০৭ সাল থেকে। এখন পর্যন্ত ৬৯ টেস্টে রান করেছেন ১০ সেঞ্চুরিতে ৫০৮২, ২৩১ ওয়ানডেতে ৮০৭৪ রান এবং ৭৮ টি-২০ ম্যাচে ১৭৫৮ রান করেছেন। ৩৫ বছর বয়সী সাকিব খেলছেন ২০০৬ সাল থেকে। ৬৫ টেস্টে ৪৩৬৭ রানের পাশাপাশি উইকেট নিয়েছেন ২৩১টি, ২২৪ ওয়ানডেতে ৬৮৩৫ রান ও ২৯৪ উইকেট এবং ১০৯ টি-২০ ম্যাচে ২২৪৩ রান ও উইকেট নিয়েছেন ১২টি। দুজনেই সেরা পারফরমার। কিন্তু দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব অনেক, এ নিয়ে ক্রিকেটপাড়া সরগরম। বিষয়টিতে গুড় ঢেলে দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবি সভাপতি একটি ইংরেজি ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে দলের গ্রুপিং নিয়ে কথা বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা গ্রুপিং। এটাই বাস্তবতা। আর কিছুতে সমস্যা নেই। আমি শুধু এই গ্রুপিং নিয়ে ভীত। স¤প্রতি এ ব্যাপারে জানতে পেরেছি। বিশ্বকাপের পর আমি যা শুনেছি... বিশ্বাস করতে পারছি না এটা কীভাবে সম্ভব। ক্রিকেটের সুন্দর ভবিষ্যৎ দেখতে হলে এর অবসান ঘটাতে হবে। সব ক্রিকেটারকেই বুঝতে হবে এখানে গ্রুপিংয়ের কোনো সুযোগ নেই।’ যদিও বিষয়টিকে স্বীকার করেননি তামিম। বিসিবি গত কয়েক বছর ধরে চেষ্টা করছে দুই তারকার সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে। তামিমের মনোভাব ইতিবাচক।

সর্বশেষ খবর