বুধবার, ২১ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে মেয়েরা

ইমার্জিং নারী এশিয়া কাপ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে মেয়েরা

পরতে পরতে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ইমার্জিং নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলতে লতাবাহিনী গতকাল ৬ রানে হারিয়েছে পাকিস্তানকে। ২০ ওভারের ম্যাচটি বৃষ্টিতে কার্টেল হয়ে ৯ ওভারে নির্ধারিত হয়। গতকাল ছিল ম্যাচটির রিজার্ভ ডে। ভারত ও শ্রীলঙ্কার আরেক সেমিফাইনাল মাঠেই গড়ায়নি। অবশ্য গ্রুপ পর্বে ভালো খেলার সুবিধায় ফাইনালে উঠেছে ভারত। আজ ইমার্জিং নারী এশিয়া কাপের প্রথম আসরের ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ ও ভারত।

‘দ্বীপরাষ্ট্র’ হংকংয়ে এখন দিনভর বৃষ্টি হচ্ছে। বাধাগ্রস্ত হয়েছে ইমার্জিং নারী এশিয়া কাপ। বৃষ্টিতে টি-২০ টুর্নামেন্টের টানা ৮ ম্যাচ ভেসে গেছে। ভাগ্যক্রমে মাঠে গড়িয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ। খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘণ্টা পর। ৯ ওভারে নির্ধারিত ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথম ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে ৫৯ রান করে। ৬০ রানের টার্গেটে পাকিস্তানের ইনিংস থেমে যায় ৯ ওভারে ৪ উইকেটে ৫৩ রানে। বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলেছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়াকে ৮৯ রানে হারায় লতাবাহিনী। পরের দুটি ম্যাচে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে খেলতেই পারেনি। পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নেয়। ৩ ম্যাচ ৪ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় পাকিস্তানের। পাকিস্তান সেমিফাইনাল অংশ নেয় গ্রুপ রানার্স আপ হয়ে।

টস জিতে বৃষ্টি ভেজা উইকেটে ব্যাটিং নেন লতা মন্ডল। তার সিদ্ধান্ত বিপদে পড়ে প্রথম ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে। পাকিস্তানের পেসার ফাতিমা সানার ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি মারেন সাথি রানী। পরের বলেই বোল্ড হন সাথি। ওভারের চার নম্বর বলে সোবহানা মুস্তারিকে ফিরতি ক্যাচে সাজঘরে ফেরান ফাতিমা। পরের বলে বাংলাদেশ অধিনায়ক লতা ম লকে ইয়র্কারে বোল্ড করে হ্যাটট্রিকের আশা জাগান তিনি। ষষ্ঠ বলে সিঙ্গেল নিয়ে প্রান্ত বদল করেন মুর্শিদা খাতুন। প্রথম ওভারে ৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা বাংলাদেশ। প্রথম ৩.৪ ওভারে ১৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে পুরোপুরি কোণঠাসা হয়ে পড়ে লতাবাহিনী। সপ্তম উইকেট জুটিতে হাল ধরেন রাবেয়া খাতুন ও নাহিদা আক্তার। দুজনে স্কোর কার্ডে যোগ করেন ৫ ওভারে ৩৭ রান। ম্যাচ সেরা নাহিদা দলের চরম বিপর্যয়ে সর্বোচ্চ ২১ রানের ইনিংস খেলেন ১৬ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায়। রাবেয়া অপরাজিত থাকেন ১০ রানে। ২০ বলের ইনিংসটিতে ছিল না কোনো বাউন্ডারি। পাকিস্তানী বোলারদের মধ্যে সফল ছিলেন ফাতিমা। তার স্পেল ২-০-১০-৩।

ফাইনাল খেলতে টার্গেট ৬০ রান। ওভারপ্রতি প্রায় ৭ রানের কাছাকাছি। শাওয়াল জুলফিকার ও আয়মান ফাতিমা ৪ ওভারে ২৬ রানে ভিত দেন। তখন মনে হচ্ছিল জিতে যাবে পাকিস্তান। হাতে ৯ উইকেট নিয়ে দলটির দরকার ৫ ওভারে ৩৪ রান। কিন্তু বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার, মারুফা আক্তার, রাবেয়া খানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৯ ওভারে ৪ উইকেটে ৫৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন আয়ামান ফাতিমা। অধিনায়ক ফাতিমা সানা ১০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেও জয় তুলে নিতে পারেননি। শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১৩ রান। সানজিদা আক্তারের ওভারে ৬ রানের বেশি নিতে পারেনি।

সর্বশেষ খবর