রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
লিগের চার আসরে ৯০ ম্যাচে ৭৭ জয়

কিংসের বিরল রেকর্ড

চার লিগে বসুন্ধরার ম্যাচ ৯০, পয়েন্ট ২৪০, জয় ৭৭, ড্র ৯ ও হার ৪টি, গোল করেছে ২১৮টি আর হজম ৫৮টি।

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কিংসের বিরল রেকর্ড

ঘরোয়া ফুটবলে আরেকটি সফল মৌসুম শেষ করল বসুন্ধরা কিংস। অভিষেক থেকেই টানা চার লিগ জয়। এ এক অনন্য ইতিহাস। ৭৫ বছরের ইতিহাসে যা কোনো ক্লাবের পক্ষেই সম্ভব হয়নি। চারের বেশি শিরোপা জয়ের রেকর্ড রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু টানা চারে চার কিংসই প্রথম। ১৯১৮-১৯ মৌসুমে পেশাদার লিগে অভিষেকের পর সব ইতিহাস ও রেকর্ড বদলে দিয়েছে বসুন্ধরা কিংসই। ঘরোয়া ফুটবলে সাফল্য বলতে আবাহনী ও মোহামেডানের নামই উচ্চারিত হতো। অথচ পাঁচ বছরে চার লিগে কিংস যা পেরেছে তা তাদের পক্ষেও সম্ভব হয়নি। দুই দলের ফুটবলে আবির্ভাব অনেক আগে বলেই চ্যাম্পিয়নের সংখ্যা বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অভিষেকের আসর থেকে কিংস বাজিমাত করেছে।

অল্প সময়ের মধ্যে শুধু সাফল্য নয়। বসুন্ধরা কিংস ক্রীড়াঙ্গনে অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাবে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব ফুটবলে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের নাম যেমন সবার মুখে মুখে। তেমনি এখন দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে বসুন্ধরার নামটিই অগ্রাধিকার পাচ্ছে। বসুন্ধরাই একমাত্র দল যাদের সাফল্য নিয়ে ইউরোপ মিডিয়ায় প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে। প্রতিটি সাফল্যে ফিফা সভাপতি অভিনন্দনও জানাচ্ছেন কিংস ম্যানেজমেন্টকে।

আবির্ভাবের পর থেকে ইতিহাস আর রেকর্ড গড়াটা কিংসের যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। একটা অপূর্ণতা অবশ্য থেকে গেছে কিংসের। টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হলেও এখনো অপরাজিত শিরোপার স্বাদটি পায়নি। তাতে কী, টানা চারবার তো বিশাল ব্যাপার। এ রেকর্ড এখন অন্য কারোর পক্ষে স্পর্শ বা ভাঙা সম্ভব নয়। নতুন কোনো ক্লাবই পারে তা। এ অসম্ভবকে সম্ভব করা নতুনদের পক্ষে সম্ভব কি?

এক সময়ে লিগে ১৬ বা ১৭টি করে ক্লাব অংশ নিত। ডাবল লিগ পদ্ধতিতে যারা চ্যাম্পিয়ন হতো পয়েন্টও যেমন বেশি থাকত, তেমনি গোলের সংখ্যাও। যাক তখন তো আর বসুন্ধরা কিংসের সৃষ্টি হয়নি। ঘরোয়া ফুটবলে সবচেয়ে মর্যাদাকর আসর পেশাদার লিগেই তাদের যাত্রা। মাত্র চার বছরের লিগের চিত্র তুলে ধরলে ইতিহাস আর রেকর্ডেই বন্দি কিংস। ঢাকা আবাহনী এখনো সর্বোচ্চ ছয়বার শিরোপা জেতা দল। বসুন্ধরা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কিন্তু অন্য সব রেকর্ডে কিংস এগিয়ে। চার লিগের পরিসংখ্যানে তারই প্রমাণ মেলে। চার লিগে বসুন্ধরার ম্যাচ ৯০, পয়েন্ট ২৪০, জয় ৭৭, ড্র ৯ ও হার ৪টি, গোল করেছে ২১৮টি আর হজম ৫৮টি। পেশাদার লিগে তো আবাহনী ছাড়াও শেখ জামাল ধানমন্ডি ৩ ও শেখ রাসেল একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তারা কি পেরেছে এসব অর্জন করতে? তাই বসুন্ধরা কিংসই দেশের ফুটবল কিংস।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর