শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

‘ওপেনিং নিয়ে আর চিন্তা নয়’

‘ওপেনিং নিয়ে আর চিন্তা নয়’

প্রশ্নটি শুনতে হবে, জানতেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তৈরিও ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সহঅধিনায়ক। প্রশ্ন শোনার পর আর সময়ক্ষেপণ করেননি। উত্তর দিয়েছেন সঙ্গে সঙ্গে। প্রশ্নটি ছিল- ‘বড় বড় স্কোর গড়তে ওপেনিং জুটিকে একটি শক্ত ভিত দিতে হয়। সেখানে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি পারছে না। একটি ছিদ্র রয়েই যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কী?’ নাজমুল শান্ত ঠান্ডা মাথায় উত্তর দেন, ‘আমার মনে হয় এই ওপেনিং জুটি নিয়ে আমরা আর চিন্তাই না করি। মানে এই চিন্তাটা বাদ দিয়ে দিই। আমার মনে হয় যারাই টপঅর্ডারে ব্যাটিং করছে, সবাই খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে। এমন না যে, কেউ এখানে রিল্যাক্স বা টিমের জন্য চেষ্টা করছে না। সবাই চেষ্টা করছে। আশা করছি আগামী ম্যাচ থেকে টপঅর্ডারেও ভালো কিছু হবে।’ প্রশ্নটি হওয়াই স্বাভাবিক। কারণ গত ১২ ম্যাচে ছয়জন ওপেনিং জুটি খেলিয়েছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রতি দুই ম্যাচে একটি করে নতুন ওপেনিং জুটি। লিটন-তামিম, লিটন-নাঈম, নাঈম-তানজিদ, মিরাজ-নাঈম, তানজিদ-জাকির এবং লিটন-তানজিদ জুটি খেলেছে। ১২ ম্যাচের দুটিতে মাত্র পঞ্চাশোর্ধ্ব রান করেছে ওপেনিং জুটি। এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৫৫ এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৬৬ রান। সহঅধিনায়ক যখন বলেন, ওপেনিং নিয়ে কথা না বলি, তাহলে এটা পরিষ্কার আজ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নতুন কাউকে দেখা যাবে ওপেনিংয়ে।

গতকাল ছিল টাইগারদের ঐচ্ছিক অনুশীলন। টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, লিটন দাস ও মুস্তাফিজুর রহমান বিশ্রাম নেন। বাকিরা অনুশীলন করেন।

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটের অবিস্মরণীয় জয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ। সাকিব ও মেহেদী মিরাজের ঘূর্ণিতে ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। টাইগাররা সেটা টপকে যায় মিরাজ ও নাজমুল শান্তর জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে। আফগান ম্যাচের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা অবশ্য দেখা যায়নি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ম্যাচে। হেরে যায় ১৩৭ রানের পর্বতসমান ব্যবধানে। যদিও ওই ম্যাচে লিটন ৭৬ ও মুশফিকুর রহিম ৫১ রান করেছিলেন। আজ কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভালো করতে হলে ব্যাটারদের পারফরম্যান্স করতে হবে। নাজমুল শান্ত বিশ্বাস করেন ব্যাটাররা আজ পারফরম্যান্স করবেন, ‘যারাই খেলতে এসেছেন, সবাই ক্যাপেবল। সবাই ভালো করার জন্য চেষ্টা করেন। এই উইকেটে যদি ৩০০-৩২০ রান করতে পারি, তাহলে ভালো হবে।’ যদিও পরিসংখ্যান এবং সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের বিচারে নিউজিল্যান্ড বেশ এগিয়ে। দুই দল এখন পর্যন্ত যে ৪১টি ম্যাচ খেলেছে, তাতে নিউজিল্যান্ডের ৩০ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় ১০টি। তার ওপর বিশ্বকাপে পাঁচবারের মুখোমুখিতে নিউজিল্যান্ডের সাফল্য শতভাগ।

চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে উইকেটকে বলা হয় স্পিনারদের স্বর্গ। এই মাঠে নরেন্দ্র হিরওয়ানি, হরভজন সিং, সাকলাইন মুস্তাকরা লাটিমের মতো বল ঘুরিয়ে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। ১৯৮৮ সালে ভিভ রিচার্ডসের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অভিষেক টেস্টের দুই ইনিংসে ৮টি করে ১৬ উইকেট নিয়ে বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছিলেন হিরওয়ানি। ২০০১ সালে হরভজন সিং ১৫ উইকেট নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। ১৯৯৯ সালে সাকলাইন মুস্তাক ১০ উইকেট নিয়েছিলেন ভারতের বিরুদ্ধে। এই মাঠের উইকেট বরাবরই স্পিনারদের সহায়তা করে আসছে। আজও এর বাইরে যাবে কী? এই মাঠে পাঁচ দিন আগে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে স্পিন দিয়ে বধ করেছে ভারত। ভারতীয় স্পিনাররা নিয়েছেন ৬ উইকেট। নাজমুল শান্তসহ দলের সবাই ম্যাচটি দেখেছেন। টাইগার সহঅধিনায়ক বিশ্বাস করেন, চিদাম্বরমের উইকেটে বাংলাদেশের স্পিনাররা ভালো করবেন, ‘উইকেট দেখিনি। তবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দেখেছি। সেখানে স্পিনারদের বল ঘুরেছে। আশা করি আমাদের স্পিনাররাও ভালো করবেন এই উইকেটে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর