বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঘুরেফিরে সেই একই চিত্র

ঘুরেফিরে সেই একই চিত্র

ঘুরেফিরে সেই একই চিত্র। ইডেনে কোনো ব্যাটার লম্বা ইনিংস খেলতে না পারায় ২৯ বল আগেই বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ২০৪ রানে। অথচ সতীর্থদের ব্যর্থতায়ও উজ্জ্বল ছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। অধিনায়ক সাকিব ৪৩ রান করেছেন ৬৭.১৮ স্ট্রাইক রেটে।

ছন্দ হারিয়েছেন ব্যাটাররা। ওপেনাররা বড় কোনো জুটি গড়তে পারছেন না। যার প্রভাব পড়েছে ১০ ওভারের পাওয়ার প্লেতে। শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফদের বিরুদ্ধে ৩৭ রান তুলতেই হারিয়েছে ৩ উইকেট। এই ধাক্কা সামলে নিয়েছিলেন লিটন ও মাহমুদুল্লাহ। দুজনে ১৪.৫ ওভারে ৭৯ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হন। দারুণ সব স্ট্রোক খেলা লিটন আলতো শটস খেলে অফ স্পিনার ইফতেখারের বলে ক্যাচ দেন শর্ট মিডউইকেটে। ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন ৬৫ বলে ৬ চারে। চলতি বিশ্বকাপে লিটনের স্কোর ১৩, ৭৬, ০, ৬৬, ২২, ৩, ৪৫। ৭ ম্যাচের সাত ইনিংসে রান ২২৫ রান। দুটি হাফ সেঞ্চুরি। লিটন রান করলেও পুরোপুরি ব্যর্থ তানজিদ ও নাজমুল শান্ত। গতকাল তানজিদ সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে। নাজমুল করেন ৪ রান। পুরো আসরে ওপেনার তানজিদের স্কোর যথাক্রমে ৫, ১, ১৬, ৫১, ১২, ১৫ ও ০। ৭ ম্যাচের সাত ইনিংসে রান ১০০। নাজমুল শান্ত প্রথম ম্যাচে ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর দুই অঙ্কের স্কোর করতে পারেনি। পরের ৬ ম্যাচে তার স্কোর যথাক্রমে ০, ৭, ৮, ০, ৯, ৪। ৭ ম্যাচের সাত ইনিংসে তার স্কোর ৮৬। এবারের বিশ্বকাপে এবারই প্রথম ৪ নম্বরে ব্যাটিং করেন মুশফিক। ৫ রানে ফেরেন সাজঘরে। পরিবর্তিত ব্যাটিং অর্ডারে মাহমুদুল্লাহ ৫ নম্বরে ব্যাটিং করে খেলেন ৫৬ রানের প্রত্যয়ী ইনিংস। তবে তিনি এমন এক সময় আউট হন, যখন ইনিংসের বাকি ছিল ১৯.২ ওভার। মাহমুদুল্লাহ উইকেটে থাকলে রান আড়াই শর ঘর স্পর্শ করত। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ খেলেছেন মাহমুদুল্লাহ। টুর্নামেন্টে আফগানিস্তান ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। খেলেননি ইংল্যান্ড ম্যাচের। পরের ৫ ম্যাচে তার স্কোর যথাক্রমে ৪১*, ৪৬, ১১১, ২০ ও ৫৬। পাঁচ ইনিংসে তার রান ৬৮. ৫০ গড়ে ২৭৪। সাকিব খেলেন ৬ নম্বরে। গতকাল ৪৩ রান করলেও শুরু থেকে স্ট্রাগল করেছেন। ৬৪ বলের ইনিংস ৪টি চার মেরেছে টাইগার অধিনায়ক। যার তিনটিই অফ স্পিনার ইফতেখার আহমেদের ওভারে। গত বিশ্বকাপে ২টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ সেঞ্চরির ইনিংস খেলা সাকিবকে কখনো এতটা স্ট্রাগল করতে দেখা যায়নি ব্যাটিংয়ে। পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে সাকিব বাহিনী শেষ ৩ উইকেট হারায় ৪ রানে এবং ১২ বলের মধ্যে। নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে পুরোপুরি বাক্সবন্দি হয়ে পরে টাইগাররা। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের পরের চার আসরে টানা ৫ ম্যাচ কখনো হারেনি টাইগাররা। ডাচ বাহিনীর কাছে হারের পর টাইগার অধিনায়ক সাকিব জানিয়েছিলেন, এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ।

সর্বশেষ খবর