রবিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

টেস্টের জন্য প্রস্তুত সিলেট

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ধীরে ধীরে শীত জেঁকে বসছে সিলেটে। দুপুরের রোদে তেজ থাকলেও সন্ধ্যা থেকে বইতে থাকে শীতল হাওয়া। এমন পরিবেশেই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড দুই টেস্ট ম্যাচ সিরিজ। এ সিরিজ দিয়ে তাসমান পাড়ের দেশ নিউজিল্যান্ড টেস্ট খেলতে এসেছে ২০১৩ সালের পর। যদিও পরের ১০ বছরে দুই দেশ পরস্পরের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলেছে ৬টি এবং সবগুলোই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে। ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্ট জয়টি আবার নিউজিল্যান্ডের মাটিতে। দুই দলের সর্বশেষ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বাংলাদেশ জিতেছিল ইবাদত হোসেনের দুরন্ত বোলিংয়ে। ইনজুরির জন্য ইবাদত খেলছেন না এই সিরিজ। এক দশক পর বাংলাদেশের মাটিতে খেলতে এসেছে নিউজিল্যান্ড। সিলেটে টেস্ট ফিরছে পাঁচ বছর পর। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ৭টি ওয়ানডে ও ১০ টি-২০ ম্যাচে আয়োজক সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। যদিও সিলেটের অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছিল ১৫১ রানের পর্বতসমান ব্যবধানে। বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড এই টেস্ট সিরিজ দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু করবে।

১০০ টাকা খরচ করে পশ্চিম গ্যালারি ও গ্রিন হিল এরিয়ায় বসে খেলা দেখতে পারবেন দর্শক। গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড টিকিটের মূল্য ১০০০ টাকা এবং ক্লাব হাউস ৩০০ ও পূর্ব গ্যালারির টিকিটের মূল্য ২০০ টাকা।

টেস্ট আয়োজনে পুরোপুরি প্রস্তুত সিলেট। পাঁচ দিনের টেস্টের টিকিটের মূল্য ঘোষণা করেছে ক্রিকেট বোর্ড। ১০০ টাকা খরচ করে পশ্চিম গ্যালারি ও গ্রিন হিল এরিয়ায় বসে খেলা দেখতে পারবেন দর্শক। গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড টিকিটের মূল্য ১০০০ টাকা এবং ক্লাব হাউস ৩০০ ও পূর্ব গ্যালারির টিকিটের মূল্য ২০০ টাকা। প্রতিদিনের টিকিট স্টেডিয়াম সংলগ্ন গেট থেকে কিনতে হবে ক্রিকেটপ্রেমীদের। টানা দুই দিন কঠোর পরিশ্রমের পর গতকাল বিশ্রামে কাটিয়েছে দল। আজ ফের অনুশীলনে নামবে। মঙ্গলবার টেস্ট শুরু। দ্বিতীয় টেস্ট ৬-১০ ডিসেম্বর, মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে।

বিশ্বকাপে চরম ভরাডুবির পর ঘরের মাঠে টেস্ট খেলতে নামছে টাইগাররা। বিশ্বকাপ স্কোয়াডের অনেক ক্রিকেটারই খেলছেন না। ইনজুরির জন্য নেই সাকিব আল হাসান। খেলছেন না তামিম ইকবাল, লিটন দাস। ছুটি নিয়েছেন লিটন। বিশ্বকাপের সফল টাইগার ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আগেই সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেস্ট খেলবে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাটিতে এবার নিয়ে চতুর্থবার টেস্ট সিরিজ খেলবে টাইগাররা। ২০০৪-০৫ মৌসুমে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ খেলেছিল। সেবার দুটি টেস্টই জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। ঢাকায় জিতেছিল ইনিংস ও ৯৯ রানে এবং চট্টগ্রামে ইনিংস ও ১০১ রানে। ২০০৮-০৯ মৌসুমে দুই দল আবারও টেস্ট সিরিজ খেলেছিল। চট্টগ্রামে ৩ উইকেটে জিতলেও ঢাকার টেস্টটি ড্র হয়েছিল বৃষ্টি-বাধায়। ২০১৩ সালে তৃতীয়বারের মতো মুখোমুখি হয় দুই দল। দুটি টেস্টই ড্র হয়। চট্টগ্রামে টেস্ট ড্র হয়েছিল স্পিন অলরাউন্ডার সোহাগ গাজীর অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে। ৮ নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করেছিলেন সোহাগ এবং দুই ইনিংসে উইকেট নিয়েছিলেন ৮টি (২/৭৯, ৬/৭৭)। মিরপুরে টেস্ট ড্র হয়েছিল সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হকের সেঞ্চুরির ইনিংসে। ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টানা তিন ড্রয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নামবে নাজমুল বাহিনী।

২০১৩ সালের পর টেস্ট খেলতে এসেছে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু বিশ্বকাপের আগেই ওয়ানডে সিরিজ খেলে গেছে দলটি। সেই দলের অনেকেই রয়েছেন এবারের ব্ল্যাক ক্যাপস স্কোয়াডে। পূর্ণ শক্তি নিয়ে সিরিজ খেলতে এসেছে দলটি। স্বাগতিক বাংলাদেশ সিরিজে সিনিয়র ক্রিকেটার বলতে একমাত্র মুশফিকুর রহিম। সিলেটে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটিতে ব্যবধান গড়ে দিয়েছিলেন দুই দলের স্পিনাররা। টাইগার বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে নিয়েছিলেন ১৭০ রানে ১১ উইকেট (৬/১০৮ ও ৫/৬২)। সুতরাং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও টেস্টটি হবে স্পিন উইকেটে।

সর্বশেষ খবর