প্রচন্ড তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। তাপমাত্রা ৪০-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। অপ্রয়োজনে বের হচ্ছেন না কেউ। এমন গরমে আজ শুরু হচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের সুপার লিগ। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে শিরোপার দ্বারপ্রান্তে থাকা আবাহনী এবং সুপার লিগের ছয় নম্বর দল প্রাইম ব্যাংক। বিকেএসপিতে খেলবে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় দল শাইনপুকুর ও পাঁচ নম্বর দল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা স্টেডিয়ামে খেলবে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে তৃতীয় এবং চতুর্থ দল মোহামেডান ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। দুই দিনের বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা ২৫ এপ্রিল।
নাজমুল হোসেন শান্তর আবাহনী গত আসরের চ্যাম্পিয়ন। শিরোপা ধরে রাখতে প্রিমিয়ার ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল দলটি ভিড়িয়েছে জাতীয় দলের অধিকাংশ ক্রিকেটার। জাতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া দলটি দুরন্ত ক্রিকেট খেলে টানা ১১ জয়ে সুপার লিগে উঠেছে। তামিম ইকবালের প্রাইম ব্যাংক সবার শেষ দল হিসেবে সুপার সিক্সে নাম লিখেছে। দুই দলের লিগ পর্বের খেলাটি রান বন্যায় ভেসেছিল। ৩ সেঞ্চুরির ম্যাচটি আবাহনী জিতেছিল ৫৮ রানে। মোহাম্মদ নাঈম শেখের ১০৫ ও নাজমুল শান্তর ১১৮ রানে ভর করে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৪১ রান করে আবাহনী। জবাবে মুশফিকুর রহিমের ১১১ রানের ইনিংসে প্রাইম ব্যাংক ২৮৩ রান করে। আজ জিতলে শিরোপা উৎসব থেকে খালেদ মাহমুদ সুজনের আবাহনী এক ম্যাচ দূরে থাকবে। দলটির পয়েন্ট হবে ১২ জয়ে ২৪। দুইয়ে থাকা শাইনপুকুর, মোহামেডান ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের পয়েন্ট ১৬। তিন দলেরই কাগজে কলমে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য দলগুলোকে টানা ৫ ম্যাচ জিততে হবে এবং আবাহনীকে হারতে হবে সব ম্যাচ। সাদা চোখে বিষয়টি অবিশ্বাস্য!
বিকেএসপিতে শাইনপুকুর ও গাজী গ্রুপের ম্যাচটির গুরুত্ব খুব বেশি থাকবে না, যদি মিরপুরে আবাহনী জিতে যায়। লিগ পর্বে শাইনপুকুর ডিএলএস মেথডে ৮০ রানে হারিয়েছিল গাজী গ্রুপকে। প্রথমে ব্যাটিংয়ে ৪৩ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪২ রান করে শাইনপুকুর। ৩৫ ওভারে ২৪২ রানের টার্গেটে গাজী গ্রুপ ১৬১ রানে গুটিয়ে হেরে যায় ৮০ রানে। ফতুল্লায় মুখোমুখি হচ্ছে মোহামেডান ও শেখ জামাল। লিগ পর্বের ম্যাচে মোহামেডান ৫ রানে হারিয়েছিল শেখ জামালকে। মোহামেডান প্রথমে ব্যাটিংয়ে উইকেটরক্ষক ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ৭০ রানে ভর করে ২০০ রান করেছিল। জবাবে শেখ জামাল ৮ উইকেটে ১৯৫ রান করে।লিগে দারুণ ব্যাটিং করছেন মোহামেডানের অঙ্কন। তিনি ১১ ম্যাচে ৬ হাফ সেঞ্চুরিতে ৪৫৪ রান করেন। সবচেয়ে বেশি ৫৮৫ রান করেছেন প্রাইম ব্যাংকের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। ১১ ম্যাচে ইমন সেঞ্চুরি করেছেন ৩টি ও হাফ সেঞ্চুরি ২টি। আবাহনীর নাঈম ১১ ম্যাচে ৪৬৯ রান করেছেন ১ সেঞ্চুরি ও ৪ হাফ সেঞ্চুরিতে। তামিম ইকবাল ১১ ম্যচে ৪২৪ রান করেছেন।
লিগে এখন পর্যন্ত ১৬ ক্রিকেটার ১৮টি সেঞ্চুরি করেছেন। সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন গাজী গ্রুপের রুয়েল মিয়া, ১১ ম্যাচে উইকেট ২৫টি। সেরা বোলিং ১৮ রানে ৫ উইকেট। মোহামেডানের আবু হায়দার রনি ১১ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ২২টি। তার সেরা বোলিং ৬-১-২০-৭। সবচেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন তওফিক খান তুষার ১১ ম্যাচে ২৬টি। ইমন মেরেছেন ১১ ম্যাচে ২৫টি।