শনিবার, ১ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

গোলরক্ষকদের দায়িত্ব বেড়েছে

গোলরক্ষকদের দায়িত্ব বেড়েছে

বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক কোচ নুরুজ্জামান নয়ন। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কোচিং করাচ্ছেন তিনি। বর্তমান সময়ের সেরা গোলরক্ষকদের ট্রেনিং দিয়েছেন। বাংলাদেশের গোলরক্ষকদের ভূমিকা অনেকটাই বদলে দিয়েছেন নয়ন। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন -রাশেদুর রহমান

 

আপনার ফুটবল জীবন সম্পর্কে বলুন। কীভাবে গোলরক্ষক হয়ে উঠলেন?

ছেলেবেলা থেকেই ফুটবল খেলতাম। দেয়ালে ফুটবল শুট করে হাত দিয়ে ধরতাম। পায়ের খেলার চেয়ে হাতে ফুটবল লুফে নেওয়াটাই আমার কাছে বেশি ভালো লাগত। এভাবেই গোলরক্ষক হয়ে উঠি একদিন। মিরপুর চলন্তিকা ক্লাবে খেলে ক্যারিয়ারের শুরু। এরপর ধানমন্ডি ক্লাব, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, ফকিরেরপুল এবং ভিক্টোরিয়া ক্লাবে খেলেছি।

 

গোলরক্ষক কোচ হয়ে উঠলেন কীভাবে?

ফুটবল ক্যারিয়ার শেষ করে বিপিএড করে স্কুলে চাকরি নিয়েছিলাম। কিন্তু অনেকের সঙ্গে পরামর্শ করে কোচিং ক্যারিয়ারটাই বেছে নিই। এএফসি গোলকিপিং লেভেল-১ (২০১৬), গোলকিপিং লেভেল-২ (২০১৯) এবং গোলকিপিং-এ ডিপ্লোমা (২০২৪) অর্জন করি (প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে)। পাশাপাশি এএফসিতে ‘এ’ কোচিং লাইসেন্সও করেছি।

 

আপনার কোচিংয়ে অনেক গোলরক্ষকই তৈরি হয়েছে। কাকে সবচেয়ে ভালো মনে করেন?

জিকোই সবচেয়ে ভালো। দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয়েছে সে। তার আত্মবিশ্বাস এবং শেখার আগ্রহ অনেক। নার্ভাস হয় না কখনো। শ্রাবণও খুব দ্রুত সেরা গোলরক্ষক হয়ে উঠবে।

 

গোলরক্ষকদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কিছু বলুন...

গোলরক্ষকদের ভূমিকা আগের মতো নেই। আধুনিক গোলরক্ষকদের দায়িত্ব অনেক বেড়েছে। ট্রেডিশনাল গোলরক্ষকরা কেবল গোলপোস্টই সেভ করতেন। এখন হাইলাইন গোলকিপিং হয়। একজন ফুটবলার মাঠে ১৫-১৬কিলোমিটার দৌড়ান। গোলরক্ষকরাও কিন্তু এখন ৫-৬ কিলোমিটার দৌড়ান। আগে এটা ছিল না। আগে কেবল ‘প্রটেক্ট দ্য গোল’ই ছিল। এখন এর সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রটেক্ট দ্য স্পেস এবং অ্যাটাকিং ফুটবল।

সর্বশেষ খবর