মাত্র চার মাসের ব্যবধানে দেশের আরেক নারী ফুটবলার চলে গেলেন না ফেরার দেশে। গত মার্চে সন্তান জন্ম দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেন অনূর্ধ্ব-১৮ নারী সাফ বিজয়ী খেলোয়াড় রাজিয়া সুলতানা। ৭ জুলাই রাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আরেক ফুটবলার মিথিলা আক্তার। ২০১৪-১৫ সালে খেলেছেন বয়সভিত্তিক ১৪ ও ১৫ দলে। পারফরম্যান্স সন্তোষজনক না হওয়ায় বাদ পড়ে ফুটবল থেকে বাইরে ছিলেন মিথিলা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে তার মৃত্যুর খবর। ২৩ বছর বয়সী এ ফুটবলার অসুস্থ ছিলেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। নারায়ণগঞ্জ থেকে উঠে আসা মিথিলা লিভার ও শ্বাসকষ্টজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। মিথিলার মৃত্যুতে নারী ফুটবল দলের সাবেক সফল কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন শোক প্রকাশ করেছেন। টেলিফোনে তিনি বলেন, ‘মিথিলা আমার প্রশিক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৪ ও ১৫ জাতীয় দলে খেলেছে। সেটি ছিল দেশের ভিতর এএফসির বাছাই পর্বের খেলা। সর্বশেষ খেলেছে ২০১৪-১৫ সালের দিকে। ওর মৃত্যুর খবর শুনে হতবাক হয়ে যাই।’ মিথিলার মৃত্যুতে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন শোক প্রকাশ করেছেন। অসুস্থতায় তার মৃত্যু হলেও জানা গেছে বাফুফের ক্যাম্পে থাকা অবস্থায় মিথিলা শ্বাসকষ্টে ভুগতেন। ইনহেলার নিয়ে আবার ঠিক হয়ে যেতেন। প্রশ্ন উঠেছে বাফুফে তা কি জানত না? জেনে থাকলে ক্যাম্পে থাকার সময় তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি কেন?